• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

উদাহরণ ঘিরে নামকরণ হয় ‘মাকাল ফল’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৯  

 


‘গুরুমশায় বলেন তারে/‌বুদ্ধি যে নেই একেবারে/দ্বিতীয়ভাগ করতে সারা ছ’মাস ধরে নাকাল।’ রেগেমেগে বলেন, ‘বাঁদর, নাম দিনু তোর মাকাল।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই শিশুতোষ ‘মাকাল’ নামক কবিতায় অনুন্নত বালকটি পরিচয় তুলে ধরেছিলেন।

উপমা থেকে নামকরণ হয়েছে এ ফলটির। মাকালের আদি নাম ছিল ‘মহাকাল’। এ নামটি ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়ে উপমাশ্রিত নামে রূপান্তরিত হয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trichosanthes tricuspidata

টকটকা লাল ফল মাকাল। উদ্ভিদটি ওষুধি গুণাগুণসম্পন্ন হলেও বিপন্ন প্রকৃতিতে তার অস্তিত্ব আরও সংকটে। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এ লতানো উদ্ভিদটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে  বলেন, ‘মাকাল’ হচ্ছে একটি উপমা। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে কিছু উপমা তৈরি করেছেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য। মাকাল ফল হলো সেই উপমা। অর্থাৎ চকচক করলেই সোনা হয় না। শুধু চককের দিকে তাকালে হবে না, এর কোয়ালিটির দিক আগে দেখতে হবে। এই উপমার জন্যই মাকাল নামকরণ। মাকাল ফলের বাইরের দিক সুন্দর হলেও ভেতরটা দেখতে অসুন্দর।

মাকাল ফলের ভেতরের অংশ। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ওষুধি গাছ। মাকাল এখন বাংলাদেশে খুবই কম; নেই বললেই চলে। এ ফুলের আদি নিবাস তুর্কি। আমাদের দেশে একসময় প্রচুর ছিল। এ উদ্ভিদটি লতা জাতীয় হলেও এরা বড় গাছে আশ্রয় করে বেঁচে থাকে। যেহেতু বড়গাছ প্রায় নেই বললেই চলে, তাই তাদের সংখ্যাও কমে গেছে। এ লতানো উদ্ভিদটি সব সময় হাতের নাগালের বাইরে থাকে।

ফলের স্বাদ ও তুলনামূলক পার্থক্য উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ফলটি তেতো জাতীয়। ফলের ভেতরের রংটার সঙ্গে উপরের রঙের কোনো প্রকার সামঞ্জস্যতা নেই। ভেতরের পচা রঙের সঙ্গে উপরের সুন্দর লাল টকটকা রঙের কোনো মিল নেই। বাইরের রং এতো সুন্দর যে, মানুষ এটা দেখে আকৃষ্ট হয়।

মাকাল ফলটি আমাদের সমাজের চমৎকার উদাহরণ। সমাজে তো আমাদের অনেক সুন্দর মানুষ আছেন, শুধু তাদের সৌন্দর্য দেখলেই হবে না, তাদের গুণগুলোও যাচাই করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ড. জসীম।