• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

এডিপিতে পদ্মাসেতু বরাদ্দ পাচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২০  

মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।  ওই অর্থবছরের জন‌্য ৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার খসড়া বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।   

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে উন্নয়ন বাজেটে পদ্মাসেতু প্রকল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। এছাড়া পদ্মাসেতু রেল লিংক ও বঙ্গবন্ধু রেলসেতু প্রকল্পেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন এডিপিতে। পদ্মাসেতু ও রেলসংযোগ, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে আগামী অর্থবছরও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

নতুন এডিপি চূড়ান্ত করার জন্য দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা জানানোর জন্য চিঠি দিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন।  সেই চাহিদার ওপর নির্ভর করে একটা খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।  খসড়া এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে একটি প্রাক মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।  আগামী মঙ্গলবার (১২ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন এডিপি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নতুন এডিপির একটি খসড়া ঠিক করেছি। তার আগে মঙ্গলবার সভা করবো। এটি পরে এনইসি সভা ডেকে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করবেন। এডিপিতে স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বরাদ্দ সব থেকে বেশি পরিবহন ও সেতু বিভাগে। কারণ পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পদ্মারেল লিংকের মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা চাহিদার কথা বিবেচনা করেই নতুন এডিপির খসড়া ঠিক করেছি। এই এডিপি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল এই অর্থবছরে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিলো। করোনা উন্নয়ন কাজে অনেক আঘাত দিলেও আমরা আশা ছাড়ছি না।

পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জানা গেছে, করোনা সংকটের মধ্যেই চলমান রয়েছে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সেতুর ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের ওপর ২৯তম স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে।  ফলে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার।  পদ্মাসেতুতে স্প্যান বসানো বাকি এখন ১২টি।  সেতুর কাজ আরও এগিয়ে নিতে এই প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি টাজা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।