• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

এদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব তিনি দেশের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে একটি আমানত। সেই আমানত রক্ষা করতে আমার জেলার ৬ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের টীম মরিয়া। তিনি আজ ২২ মে শনিবার জেলার জাজিরা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ পর্যায়ের নির্মিতব্য ৩০০ ঘর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরির্দশন কালে এসব কথা বলেন।

জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে ঘর পরির্দশনকালে তার সাখে উপস্থিত ছিলেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভুইয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেনু দাস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ১ম পর্যায়ে ৫৪ টি ঘর নির্মাণ করে কবুলিয়তসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে তারা মালিক হিসেবে বসবাস করছে। ২য় পর্যায়ে ৩০০টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান। কাজটি মোটেই এত সহজ নয়। এই দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে। পুত্রশোক সহ্য হয় কিন্তু জমি হারানোর শোক সহ্য হয় না। যারা এই খাস জমিগুলো ভোগ করত, যদিও তারা জানে জমির মালিক তারা নয়, সরকার, তথাপি যখনই আমরা জমির দখল নিতে যাই, তাদের কষ্টটা সেই পর্যায়ে কাজ করে। ফলে জমি রক্ষার জন্য শুরু হয় মরণপণ চেষ্টা। নানা তদবির, চাপ, আন্দোলন, মামলা, আদালত। এ পর্যন্ত ১১টি মামলা রুজু হয়েছে। এমনকি আদালত অবমাননা মামলাও। সবকিছু মোকাবেলা করেই আমাদেরকে অগ্রসর হতে হচ্ছে।

সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করা। এই ধাপটি কেমন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলতে চাই, দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময় সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় একটি অধ্যবসায়। সততা, দক্ষতা, পরিশ্রম, বিচক্ষণতা এবং টীম ওয়ার্ক করেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক প্রকল্প এলাকায় ২টি ফলজ গাছের চারা রোপন করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করে আমানত যেন রক্ষা পাশাপাশি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সারথী হতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান।