• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

এবার যুক্তরাষ্ট্রেও ‘প্লাস্টিক বৃষ্টি’!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৯  

 

অপচনশীল প্লাস্টিকে ভরে যাচ্ছে পৃথিবী। ছড়িয়ে পড়ছে নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্রে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার ও বোল্ডার শহরের বৃষ্টির পানি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা মত দিয়েছেন, সেখানে রীতিমতো প্লাস্টিক বৃষ্টি হচ্ছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়েছে, খালি চোখে বৃষ্টির পানিতে মিশে থাকা প্লাস্টিক দেখা যায় না। তবে, সাধারণ ডিজিটাল ক্যামেরার সঙ্গে একটি বাইনোকুলার মাইক্রোস্কোপ লাগালে সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে অসংখ্য রংবেরঙের প্লাস্টিক কণা। প্রায় ৯০ শতাংশ নমুনাতেই এ ধরনের প্লাস্টিক কণা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এরা সাধারণত ফাইবার রূপে মিশে থাকে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে মিশে থাকা বেশিরভাগ প্লাস্টিক কণার রঙই নীল। এছাড়াও আছে লাল, রূপালী, বেগুনি, সবুজ, হলুদসহ অন্য রঙ। এর আগেও বৃষ্টির পানিতে প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় পিরেনীজ পার্বত্য এলাকার বৃষ্টির পানিতেও প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল।  

সাম্প্রতিক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে মানুষ গড়ে পাঁচ গ্রাম প্লাস্টিক গলাধঃকরণ করছে, যা একটি ক্রেডিট কার্ডের সমান। গবেষকদের মতে, বর্তমানে সমুদ্রে ভাসছে হাজার কোটি প্লাস্টিক টুকরো, ধ্বংস করছে সামুদ্রিক পরিবেশ, নষ্ট হচ্ছে সেখানকার জীববৈচিত্র্য।

এ থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য তৈরি বা বাজারজাতকরণেও প্লাস্টিক বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছে। 

এরমধ্যেই, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্লাস্টিকের প্রচারণায় পেনসিলভানিয়ার একটি কারখানায় হাজির হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সারাবিশ্ব প্লাস্টিকে ভরে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব আমাদের প্লাস্টিক নয়। এর জন্য চীন দায়ী।