• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০  

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্লাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের ‘অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত’ অংশগুলি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্লাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকারি রেভিনিউ সংগ্রহ করা হয় তা আগামী ১ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৫ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

পরে তানভীর আহমেদ বলেন, রিটের শুনানিতে বাংলাদেশী ওয়েব সিরিজের ভিডিও কনটেন্টগুলো ছাড়াও ভারতীয় কিছু বাংলা ওয়েব সিরিজের তথ্য আদালতকে দিয়েছি। যেগুলো হচ্ছে- হলিফাক, চরিত্রহীন, মন্টু পাইলট, হ্যালো, দুপুরের ঠাকুরপো, আস্তে লেডিস, ওয়েব সিরিজ কবিতা ভাবি সাইজ ম্যাটার। হিন্দি ওয়েব সিরিজের মধ্যে আছে যেমন- কবিতা ভাবি, সাইজ ম্যাটার, চরমসুখ, মনা হোম ডেলিভারি। যেগুলি ভারতীয় এমএক্স প্লেয়ার অ্যাপ্লিকেশনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজলভ্য উপায়ে দেখানো হয়।

তিনি জানান, শুনানি শেষে আদালত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ওটিটি  প্ল্যাটফর্ম থেকে বিবাদীদের ওয়েব সিরিজে থাকা অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিও কনটেন্ট গুলি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ দেশে প্রচারিত হচ্ছে এমন বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশটুকু বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওয়েব সিরিজ চলতে বাধা নেই। তবে বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে হবে। আর বিদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ সরিয়ে ফেলতে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিটিআরসি নোটিশ দেবে। এছাড়াও আদালত আগামী এক মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে একটি রিপোর্ট সাবমিট করতে বলেছে, যে কীভাবে তারা সরকারি রেভিনিউ কালেক্ট করেন বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে, যেমনটি তারা করছেন নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে।

এর আগে গত ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। তবে সে নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে তিনি গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দিলেন।
রিটের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি, শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক, পরিচালক (লিগ্যাল) বিটিআরসি, সাইবার পুলিশ ব্যুরোর ডিআইজিকে বিবাদী করা হয়।