করোনার জীবনচক্র : থাবা বসাতে সময় নিয়েছে ৪০ বছর
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২০
সারা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ এখনো উদ্ভাবন হয়নি। এর উত্স নিয়ে বিজ্ঞানীমহলে মতভেদ রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীরাই এখনো এর উৎস নিয়ে একমত হতে পারেননি।
উহানের ‘ওয়েট মার্কেট’ থেকে যখন এই ভাইরাস ছড়ানোর কথা প্রথম সামনে আসে, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন বন্যপ্রাণীর শরীর থেকেই এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে এই বন্যপ্রাণী কী হতে পারে? অধিকাংশ বিজ্ঞানীর ধারণা নয়া করোনাভাইরাস অর্থাত্ সার্স-কভ-২ এসেছে বাদুড়ের থেকেই। আবার অনেকের মত, শুধু বাদুড় নয়, প্যাঙ্গোলিনও এই ভাইরাসের অন্যতম বাহক।
বাদুড় ও প্যাঙ্গোলিন দুই প্রাণীর শরীরেই এমন ভাইরাল জিন মিলেছে যার সঙ্গে সার্স-কভ-২ এর সাদৃশ্য রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন আসে যে বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিনই কি এই মারণ ভাইরাসের বাহক? সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কারণ বাদুড়ের শরীরে যে ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে অর্থাত্ ব্যাট-কভ, তার থেকে সার্স-কভ-২ অনেকটাই আলাদা ও আরো বেশি সংক্রামক। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এক মানুষের থেকে অন্য মানুষে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা খুব একটা সহজ নয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে অন্তত ৪০ বছর সময় লেগেছে এই ভাইরাসের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তার জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। প্রথমত, প্রত্যেক ভাইরাসেরই একটা স্বাভাবিক উত্স থাকে। সেটা যে কোনো প্রাণী হতে পারে। এবার সেই প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের সংস্পর্শে আসা এবং মানুষের শরীরে নতুন বাহক কোষ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত জটিল একটা প্রক্রিয়া। সেটা সব ভাইরাসের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। দ্বিতীয়ত, মানুষের শরীরে যদি ভাইরাস ঢুকেই পড়ে, তাহলেও ক্রমাগত এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ট্রান্সমিশন এতো দ্রুত সম্ভব নয়। সেটা কেন? তারও নানা কারণ আছে। আগে জানতে হবে ভাইরাস এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়ায় কিভাবে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধরা যাক বাদুড় হলো কোনো একটি ভাইরাসের উত্স। এখন সেই বাদুড়কে আগে মানুষের সংস্পর্শে আসতে হবে। সাধারণত দেখা যায় ভাইরাস তার অরিজিন বা বাহককে সংক্রমিত করে না। বাদুড়ের থেকে ভাইরাস যখন মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসবে সে তখন চেষ্টা করবে নতুন বাহক কোষ খুঁজে বার করার। মানুষের দেহকোষের প্রোটিন যদি ভাইরাসের পছন্দ হয়, তাহলে ভাইরাল প্রোটিন তার সঙ্গে জোট বেঁধে কোষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এটা হলো এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ভাইরাসের ট্রান্সমিশনের প্রথম ধাপ।
হিউম্যান ট্রান্সমিশন কিভাবে হয়? তারও কয়েকটা পর্যায় আছে। প্রথমত, মানুষের শরীরে একবার ঢুকে পড়তে পারলে ভাইরাস চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে নিজের কব্জায় আনতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের শরীরের সব অঙ্গকে কিন্তু ভাইরাস কব্জা করতে পারে না। কারণ সব দেহকোষে সে তার পছন্দের বাহক প্রোটিন খুঁজে পায় না। তাই দেখা যায় কোনো ভাইরাস হয়তো ফুসফুসকে আক্রান্ত করে, আবার কোনো ভাইরাস কিডনি বা হার্টকে সংক্রমিত করে।
দ্বিতীয়ত, যে অঙ্গকে ভাইরাস তার টার্গেট বানায় সেখানে সে তার প্রতিলিপি তৈরি করতে থাকে। অর্থাত্ সংখ্যায় বাড়তে থাকে। এবার তার কাজ হয় নতুন বাহক কোষ খুঁজে বের করা। তার জন্য এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে। সেই সুযোগ যদি আসে তাহলে ভাইরাস সংক্রমিত হতে শুরু করে। তবে তারও একটা নির্দিষ্ট সময় ও পদ্ধতি আছে। ভাইরাস যদি নিজেকে বদলাতে না পারে তাহলে একটা সময়ের পরে এই ট্রান্সমিশন থেমে যায়। ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতাও হারিয়ে যায়, ফলে দেখা যায় একটা পর্যায়ে গিয়ে সংক্রমণ থেমে গেছে। যেমন বার্ড ফ্লু-র ক্ষেত্রে হয়েছিল। পাখির শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়েছিল ভাইরাস, তবে বেশিদূর যেতে পারেনি। একটা সময়ের পরে সংক্রমণ নিজ থেকেই থেমে গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা হলো সাধারণ ভাইরাসের চরিত্র। এবার যে ভাইরাস মহমারি আকার ধারণ করেছে সেই ভাইরাস সাধারণ নয়। নিজেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে নিয়েছে। করোনাভাইরাস নতুন নয়। আগেও ছিল। অন্তত ৪০ থেকে ৭০ বছর আগে ব্যাট করোনাভাইরাস ছিল। কিন্তু যে ভাইরাস মহামারি সে কিন্তু ব্যাট করোনা নয়, সে সার্স-কভ-২। কাজেই এদের অরিজিনটা পুরনো, শুধু চরিত্রের বদল হয়েছে। সেটা কিভাবে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে ভাইরাস খুব দ্রুত তার চরিত্রের বদল ঘটাচ্ছে। অর্থাত্ নতুন নতুন বাহক খুঁজে বের করার জন্য সেই মতো জিনের গঠন বদলে ফেলছে খুব তাড়াতাড়ি। এটা শুরু হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় থেকেই। এই ভাইরাসের ৮টা জিনোম খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, এই জিনোমগুলো নিজেদের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি করে ফেলছে। দুটি জিন মিলেমিশে গিয়ে নতুন ভাইরাল জিন তৈরি করছে। নতুন তৈরি হওয়া এই ভাইরাল জিন অনেক বেশি শক্তিশালী ও সংক্রামক। তার ট্রান্সমিশনের ক্ষমতা অনেক বেশি। সে আবার তার প্রতিলিপি তৈরি করছে। তাদের মধ্যেও আবার মিলমিশ হচ্ছে। ফের নতুন ভাইরাল জিন তৈরি হচ্ছে। এইভাবে মিউটেশন বা জিনের গঠন বদলে বদলে ভাইরাস খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। একটা সময় মহামারির চেহারা নিচ্ছে। এই ভাইরাসের এতবার বদলের কারণে তার আসল অরিজিন বা ঠিক কোন ভাইরাল জিনোম থেকে বদলটা শুরু হয়েছিল সেটা ধরতেই পারছেন না বিজ্ঞানীরা। ঠিক এমনটাই হয়েছে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন হতেই পারে ব্যাট-করোনাই বারে বারে জিনের গঠন বদলে এই চেহারা নিয়েছে। আবার নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো মধ্যবর্তী বাহক আছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মধ্যবর্তী বাহক প্যাঙ্গোলিন হতে পারে। বাদুড়ের শরীর থেকে ভাইরাস প্যাঙ্গোলিনে ছড়িয়েছে, সেখানেই এর বদল হয়েছে। পরিবর্তিত সেই ভাইরাস মানুষে ছড়িয়েছে। তবে এই সবই বিজ্ঞানীদের অনুমান ও গবেষণার পর্যায়তেই রয়েছে।
সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বদল কিভাবে হয়েছে, এই ভাইরাসের আসল উত্স কী, কেন এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তার সঠিক উত্তর এখনো অজানা। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন, বন্যপ্রাণীদের আরো কাছাকাছি চলে আসা, জঙ্গল ধ্বংস করে নগরসভ্যতার বিকাশ, খাদ্যাভাসে বদল, এমনই নানা কারণ রয়েছে সংক্রামক ভাইরাসদের মানুষের আরো কাছাকাছি চলে আসার। সচেতনতার অভাব ও অসংযমী জীবনযাত্রাই এই মহামারির অন্যতম বড় কারণ। তবে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বার্ড ফ্লু-র মতো কি এই ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে যাবে? এই প্রশ্নর উত্তর এখনো বিজ্ঞানীরা খোঁজে পাননি। সময়ই হয়তো বলে দেবে। সূত্র: দ্য ওয়াল, দ্য প্রিন্ট।
- গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কি বিপদের লক্ষণ?
- গরমে সতেজ থাকার কৌশল
- কাঁচা আমের আচার তৈরির সহজ রেসিপি
- ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার
- দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২
- কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- শিবচরে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ড্রেজার, বাল্কহেডসহ ১১জন আটক
- ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম শূন্যের কোটায় আনা হবে
- বরিশালের দুই উপজেলার ২১ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- বরিশালে ২টি নৌযান সহ ৩৯ জেলে আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৬ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা
- আজ দেখা যাবে পিংক মুন, ঢাকায় শক্তিশালী টেলিস্কোপ স্থাপন
- কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
- থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
- আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে: ধর্মমন্ত্রী
- ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন
- অভিযোগ পেলে পিডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, প্রয়োজনে পরিবর্তন
- শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র টালবাহানা করছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- কারা সনদ নিয়েছেন, কারা টাকা নিয়েছেন খুঁজে বের করবো: ডিবিপ্রধান
- জরিপ সম্পর্কে জমির মালিকদের জানাতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি আজ
- চঞ্চলকে নিয়েই শাকিবের ‘তুফান’
- অফশোর ব্যাংকিংয়ে সুদের ওপর কর প্রত্যাহার
- আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর পরামর্শ
- পাট পণ্যের উন্নয়নে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: নানক
- আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের দুজন আটক
- র্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন কমান্ডার আরাফাত
- থর মরুভূমির প্রভাব দেশে, বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনে
- ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যা
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম : শামীম