• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

কাল দিন-রাত সমান, আকাশে থাকবে সুপারমুন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৯  

আজ চৈতালী পুর্নিমায় চাঁদের হাসি বাঁধ ভাঙবে; উছলে পড়বে আলো। মায়াবী ফুটফুটে জোত্স্নায় ভেসে যাবে চরাচর। নাসা’র বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজ পুর্নিমা রাতে আকাশে যে চাঁদ উঠবে সেই ‘সুপার মুন’কে দেখাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড়। চলে আসবে আমাদের পৃথিবীর আরো ২৫ হাজার কিলোমিটার কাছে।

আগামীকাল দিন-রাত থাকবে সমান। নাসা’র বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, ফক্স নিউজসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, চলতি বছর এটাই সর্বশেষ সুপার মুন। এই সুপারমুনের অপার্থিব সৌন্দর্য বাংলাদেশে দেখা যাবে আজ ২০ মার্চ দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে। আমেরিকায় দেখা যাবে ২০ মার্চ ৫টা ৫৮ মিনিটে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অনুভূ’ সময়ের কাছাকাছি সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ প্রায় একটি সরল রেখায় অবস্থান করবে, সেই জন্য তখনই পূর্ণচন্দ্র হবে। দৃশ্যমান চাঁদের চাইতে বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। গবেষকরা চাঁদের এই অবস্থাকে বলেন অনুভূ পূর্ণচন্দ্র বা পেরিজি ফুলমুন। নাসার মতে পৃথিবীর সাথে চাঁদের দূরত্ব অনুসারে ‘সুপারমুন’ কতটকু বড় দেখাবে সেটা নির্ভর করে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা যে চাঁদকে দেখি, সুপারমুনের সময় তার চেয়ে এই চাঁদ দেখতে হবে প্রায় ১৪ ভাগ বড়। উজ্জ্বল্য হবে ৩০ ভাগ বেশি। এসময় চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৩৪ মাইল (৩ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারেরও কম) দূরত্বে অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০২ কিলোমিটার। বিশ্ববাসী আবারো আরেকটি সুপারমুন দেখতে পারবেন ২০৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, প্রতি বছর ২১ মার্চ সূর্য উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত কল্পিত বিষূব রেখা অতিক্রম করবে। ঠিক এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের এলাকা থেকে উত্তর গোলার্ধে প্রবেশ করবে। এ ঘটনাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় ঘটবে। কোথাও ১৯ মার্চ আবার কোথাও ২০ মার্চ এবং পৃথিবীর কোনো কোনো এলাকায় ২১ মার্চ ঘটে থাকে। বাংলাদেশে এ ঘটনাটি ঘটবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে।

পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারা মুখী হয়ে কক্ষপথের সাথে সব সময় ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষ রেখা বা বিষূব রেখার সমতল কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এ কারণে প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয়ে থাকে। এই সময় পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই দিনের বেলা ১২ ঘন্টা করে আলো পায় এবং ১২ ঘণ্টা পায় না। অর্থাত্ দুই গোলার্ধেই দিন-রাত সমান হয়ে থাকে।