• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা এসআই আকরামসহ ১১ জন জেলহাজতে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

 


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ‘ডাকাত’ সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম উদ্দিন শেখসহ ১১ জনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

আকরাম উদ্দিন শেখ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নোয়াখালী-৪ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবণীতা গুহ এ আদেশ দেন। একই আদালত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে আরও ১০ আসামিকে জেলহাজতে পাঠান।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হক  জানান, মিলন হত্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় এসআই আকরাম উদ্দিন বুধবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই আদালতে মঙ্গলবার বিকেলে ১০ আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও জেলহাজতে পাঠানো হয়। ওই ১০ জন হলেন- আজিজুল হক, আহছান উল্যা, আকবর হোসেন ওরফে সুমন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে স্বপন, সালাহ উদ্দিন ওরফে মিলন, ওমর ফারুখ, মো. সবুজ, আবুল খায়ের ওরফে লিটু, নুর উদ্দিন ওরফে বাবু ও মো. সেলিম।

এ মামলায় আরও আট আসামি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হন, তবে তারা এখন জামিনে আছেন। এছাড়া এখনো নয় আসামি পলাতক রয়েছেন।

২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়ার টেকের বাজার এলাকায় ‘ডাকাত’ সাজিয়ে কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ গাড়িতে করে এনে জনতার হাতে এ কিশোরকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই মিলনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পর ওই বছরের ৩ আগস্ট মিলনের মা কোহিনুর বেগম আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। পরে ৫ নভেম্বর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা ভূঁইয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন।

সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশকে বাদ দিয়ে গত ৯ মার্চ আদালতে ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্রের সাক্ষীর তালিকায় থাকা পুলিশের এসআই আকরাম উদ্দিন শেখকে আসামি করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।