• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কোথায় করাবেন করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০  

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যে কোন মানুষ হাঁচি, কাশি, নাক ঝাড়া বা নাকে-মুখে হাত দিয়ে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে, অন্যজনের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি প্রবল। সব থেকে মুশকিল হল জীবাণু সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তখন দেখা দেয় শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা।

সমস্যা হলো নতুন ধরনের এই রোগটি সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনও অনেক তথ্য জেনে উঠতে পারেননি। সাধারণ জ্বর-সর্দিই এই অসুখের প্রাথমিক উপসর্গ। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। করোনার প্রকোপ কমে যাবে নাকি আরও মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তাও বুঝতে পারছেন না তারা!

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়েনি। তবে আশঙ্কা যে একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই অবস্থায় দেশের অনেকেই সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভুগছেন। তাই করোনার ভয়ে আতঙ্কিত হওয়াটা স্বাভাবিক। এরকম ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চান কেউ কেউ।

তবে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব বড় বড় মেডিক্যাল কলেজেও নেই। বাংলাদেশে কেবল আইইডিসিআরেই করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের পরীক্ষায় রক্ত, মল বা মূত্রের নমুনা সংগ্রহের দরকার হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নিয়ম হল, এ পরীক্ষার জন্য রোগীর লালা, শ্লেষ্মা বা কফ সংগ্রহ করতে হবে।

মুখের লালা বা নাকের শ্লেষ্মার আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্ট করলেই বোঝা যায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে কি না?

আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, মুখের লালা ও নাকের শ্লেমা সংগ্রহ করা টিউব অতিমাত্রায় শীতল করে বরফের বাক্সে ভরে পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে, সেখানে টেস্ট কিট দিয়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।

রোগীর নমুনায় যদি করোনা ভাইরাস থাকে, তাহলে এ পরীক্ষায় তার সংখ্যা বাড়বে। ফলাফল আসবে ‘পজেটিভ’। এই ফলাফল পেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। আরটি-পিসিআরের প্রতিটি পরীক্ষায় খরচ লাগবে পাঁচ হাজার টাকার বেশি। যদিও এ ব্যয় বাংলাদেশ সরকার বহন করছে এখন।

যদিও সর্দি-জ্বরের মতো করোনা ভাইরাসেরও তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগটির এখন পর্যন্ত কোন টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের
সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যায়। কারও মধ্যে যদি নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসযন্ত্রে  জটিলতা দেখা দেয়, তবে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে অক্সিজেন নিতে হবে।