• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

গরমেও টবের গাছে প্রচুর গোলাপ পাবেন এই পদ্ধতিতে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১  

ভালোবাসার প্রতীক লাল গোলাপ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে এক তোড়া গোলাপ ই যথেষ্ট। তবে সেই ফুল যদি হয় আপনার নিজের বাগানের, তাহলে তো কথাই নেই। ভালোলাগা দ্বিগুণ হয়ে যাবে মুহূর্তেই। অন্য সব ফুলের তুলনায় গোলাপ ফুলের বাণিজ্যিক গুরত্ব সবচেয়ে বেশি। এমনকি বাড়ির বারান্দা কিংবা ছাদ বাগানের সৌন্দর্য বাড়াতে বাহারি রঙের গোলাপের গাছের জুড়ি মেলা ভার। 

তবে গোলাপ তখনই আপনার বাগানের সৌন্দর্য বাড়াবে যখন আপনি গাছগুলোকে যথাযথভাবে সঠিক যত্ন নেবেন। গোলাপ ফুলের গাছ শীতল পরিবেশে রোপন করতে হয়। সূর্যালোক গোলাপ গাছের উপর বেশ প্রভাব ফেলে। এই গাছের জন্য সূর্যের আলো প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে পর্যাপ্ত। কেননা গাছ খুব বেশি সূর্যের আলো এবং খুব কম তাপমাত্রায় ফুল দেয় না। তাই গ্রীষ্মের সময়টাতে গোলাপ গাছের ওপর বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। কয়েকটি টিপস অনুসরণ করলেও গ্রীষ্মের সময়টাতে বাগানে প্রচুর গোলাপের ফুল দেখতে চান। 

>> শুরুতেই গাছের যে পাতাগুলো হলুদ হয়ে গিয়েছে সেগুলোকে ছেটে বাদ দিয়ে দিণ। গাছের উপরের দিকের অংশ কেটে ফেলুন যাতে গাছটি নিচের দিকে বেশি ঘন হয়। এর ফলে গাছটি বেশ ঘন হবে এবং তাড়াতাড়ি মরেও যাবে না। এরপরে কিছুটা হলুদ এবং পানির একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। গাছের  যে অংশ কাটা হয়েছে সেখানে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুণ।

>> এই পদ্ধতিতে, গোলাপ গাছকে ছত্রাক থেকে রক্ষা করা যায়। গ্রীষ্মের মৌসুমে ছাঁটাইয়ের পরে, এই কৌশলটি ব্যবহার করলে গাছের আয়ুও বৃদ্ধি পাবে। গাছে খুব বেশি পানি দেয়ার প্রয়োজন হয় না। মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলেই তারপর পানি দিন। এইসময় প্রতিদিন গাছে পানি দিলে এর পাতা হলুদ হয়ে যাবে। এছাড়াও গাছের শিকড়গুলোতেও ছত্রাক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। 

>> যদি রোদের কারণে গাছের মাটি শুকিয়ে যায়। তাহলেই প্রতিদিন পানি দিতে পারেন। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সার এই গাছের জন্য বেশি ভালো। কলার খোসা ও চা পাতা দিয়ে তৈরি সার এই গাছের জন্য খুবই ভালো। এই গাছের জন্য অম্লীয় মাটি খুবই উপকারী। এই কলার খোসার সার বানানোর জন্য, প্রথমে কলার খোসা গুলোকে দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর সেগুলোকে গুঁড়া করে নিন। 

>> এরপর সেগুলোকে গোলাপ গাছের মাটিতে ১৫ দিন অন্তর অন্তর দিন। গোলাপ গাছে খুব দ্রুত পোকামাকড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনাকে এই উদ্ভিদে মাসে একবার করে নিম তেল দিন। এছাড়াও গাছের মাটিতে নিম পাউডার ছিটিয়েও কীটপতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এর ফলে পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গগুলো আপনার গাছ থেকে দূরে থাকবে। 

উপরের এসব ছোট ছোট পদ্ধতিগুলো মেনে চললে আপনার বাগানেও প্রচুর গোলাপ ফুল পাবেন।