• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনার চরে মহিষের খামার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯  

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীর চরে মহিষের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। চরে বিস্তীর্ণ চারণভূমি রয়েছে। তাই চরগুলো মহিষ পালন করার আদর্শ জায়গা। তবে দেরিতে হলেও চরে মহিষের খামার গড়ে তোলায় নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন হয়েছে।

গোসাইরহাটের কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালপুর এলাকায় খামার করা হয়েছে। দুটি খামারে ৮০০ মহিষ লালনপালন করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের আটজন খামারি ওই দুটি খামার করেছেন। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের খামারিরা শুধু গরু ও ছাগল লালনপালন করতেন। জেলায় চার লাখ গবাদিপশু লালনপালন করা হয়। গত বছর লক্ষ্মীপুর জেলার কয়েকজন খামারি মিলে গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনা নদীর একটি চরে দুটি খামার গড়ে তোলেন। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস বলেন, শরীয়তপুরের ওপর দিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ওই দুটি নদীতে বিভিন্ন স্থানে ছোট–বড় অন্তত ২৫টি চর রয়েছে। যেখানে কয়েক হাজার একর চারণভূমি রয়েছে। আর নদীর চরগুলো মহিষ পালন করার আদর্শ জায়গা। এত দিন কেন খামারিরা চরে মহিষ পালন শুরু করেননি, তা তিনি বলতে পারেন না। তবে এসব চরে মহিষের লালনপালনে খরচ খুব কম। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকেও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলার সাহেবের চর এলাকার বাসিন্দা আকুব আলী সরদার গত বছর ৪৫০টি মহিষ নিয়ে একটি খামার গড়ে তোলেন। ওই খামারের ৭০টি মহিষ দুধ দেয়। ওই দুধ নোয়াখালীতে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। আকুব আলী বলেন, ‘আমি ওই চরের কিছু জমি ভাড়া নিয়ে খামারটি করেছি। স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা খামার থেকে মহিষ কিনে নিচ্ছেন। আর কিছু মহিষ দুধ দিচ্ছে, তা নোয়াখালীতে বিক্রি করছেন। দুধ নৌপথে নোয়াখালী পাঠানো হয়।’ 

আরেক খামারি জাকির হোসেন বলেন, এখানে বিচরণভূমি অনেক। লাভজনক হওয়ায় লক্ষ্মীপুর থেকে এসে খামার করেছেন। 

কোদালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, মহিষের খামারটি হওয়ায় ভালো হয়েছে। স্থানীয় খামারিরা উদ্যোগী হলে তাঁদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে।