• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ সফরে বরাদ্দ সংখ্যা কমানোর নির্দেশ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ ভ্রমণের সেই ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই বিদেশ সফর নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবারের (২৪ নভেম্বর) একনেক সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বিদেশ সফরের বিষয়টি রাখলেও তা কাটছাঁট করার নির্দেশ দিয়েছেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘সংবাদপত্রে প্রতিবেদন হয়েছে, সেটাও একনেকের নজরে আনা হয়েছে। ২৯ জনের (মূলত ৩২ জন) মধ্যে অনেকেই এ বিভাগের নয়। তো সে বিষয়ে (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বিদেশ ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করতে হবে। সংক্ষিপ্ত বলতে সংখ্যা কমাতে হবে, বরাদ্দ কমাতে হবে এবং যাতে সংশ্লিষ্ট লোকজন প্রশিক্ষণে যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা অত্যন্ত ভালো প্রকল্প। ভুট্টা চাষের ফলে গোখাদ্যের উন্নতি হয়েছে। সেটা উৎসাহিত করা হবে। এই প্রকল্পে যেটা উন্নত জাতের ঘাস, যেটা আমাদের জন্য লাগসই, জমি ও প্রাণীর জন্য লাগসই, সেটা ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি।’

প্রকল্পের বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘আমরা জানি, চারণভূমির মাধ্যমে আর দুধের খামার করা সম্ভব হবে না। যেহেতু আমাদের কৃষিজমির স্বল্পতা রয়েছে। সুতরাং গরু তার জায়গায় বসেই খাবে ও দুধ দেবে। অল্প জমি ব্যবহার করে কীভাবে ঘাস দেয়া যায় তার একটা ব্যবস্থা প্রকল্পে প্রস্তাব করা হয়েছে।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আট বিভাগের ৬৪টি জেলার ৪৭৫টি উপজেলার ৪ হাজার ৪৮৫টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।