• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

চালকের অবহেলায় কসবায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মন্দবাগ রেলস্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় তূর্ণা নিশীথার চালক তাহের উদ্দিন, সহকারী চালক অনুপ দেব ও পরিচালক (গার্ড) আব্দুর রহমানের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। দুর্ঘটনা নিয়ে গঠিত ৫টি কমিটির মধ্যে ৩টির প্রতিবেদনে সাময়িক বরখাস্ত এই তিনজনকে দায়ী করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা জানান।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনের মন্দবাগ স্টেশনের আউটার ক্রসিংয়ে রাত পৌনে ৩টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৭ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন একটি, বাংলাদেশ রেলওয়ে তিনটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘৫টি কমিটির মধ্যে ৩টিই তদন্ত করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, তা প্রায় একইরকম। কমিটিগুলোর প্রতিবেদন বলছে, আন্তঃনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা-নিশীথার লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ড সিগন্যাল যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায় কমিটিগুলো তূর্ণা-নিশীথার লোকোমাস্টার তাহের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার অনুপ দেব এবং গার্ড মো. আব্দুর রহমানকে দায়ী করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার আগে চালক যে সময় পেয়েছেন, চাইলে তিনি ট্রেন থামাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্রেক প্রয়োগ করেননি।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, কমিটিগুলো ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো—

১. ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য লোকোমোটিভ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা;
২. ট্রেনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
৩. ট্রেনের অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের শূন্য পদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া;
৪. স্টেশন ও ট্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ক্লোজ ইউজার গ্রুপের মোবাইল ফোন অথবা আধুনিক অন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং
৫. বাংলাদেশ রেলওয়েতে এটিএস (অটোমেটিক ট্রেন স্টপ) ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে বলে কমিটিগুলো আশা প্রকাশ করেছে।