• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন।
তিনি আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রাপ্তি- শ্রদ্ধা,ভালবাসার এক অমলিন স্মৃতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর আপোষহীন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বাঙালির সব প্রাপ্তিই এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।
স্পিকার বলেন, বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অকুতোভয়। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু আদর্শকে ধারন করে এগিয়ে গেছেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন বাঙালির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ এমপি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ‘৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি এবং ‘৭২ এর ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য দুইটি মাইলফলক।

এ সময় স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির পরম বন্ধু। জাতির পিতা শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে জীবন্ত কিংবদন্তী তোফায়েল আহমেদ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাঙালি জাতিকে দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ, অভিনেতা মাসুম আজিজ, চিত্র নায়ক রিয়াজ, নাট্যকার এনামুল হক, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিল্পী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।