• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরায় কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন শুরু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের তত্বাবধানে এসএমই কৃষক দবির খানের মাধ্যমে জয়নগর ইউনিয়নের ১ একর জমিতে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে বারি পেঁয়াজ-৪ জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। 

এ ছাড়া নাওডোবা, বিলাসপুর সহ অন্যান্য ইউনিয়নেও একই পদ্ধতিতে চলতি রবি মৌসুমে জাজিরাতে প্রায় ১ হেক্টর জমিতে এই বীজ উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। শরীয়তপুর জেলায় প্রথম বারের মতো বড় পরিসরে বীজ উৎপাদনের এ প্রদর্শনী দেখতে প্রতিদিনই একাধিক কৃষক পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের খেত দেখতে ভীড় করছে।

এই প্রদর্শনী দেখতে এসে স্থানীয় কৃষক ইসমাইল খা বলেন, এর আগেতো আমাগো দ্যাশে এমনে কেউ পেঁয়াজের বীজ করে নাই। তাই দেখতে আইলাম। দেখইয়া মনডা ভইরা গেল। ভাল হলে আগামী তে আমিও করমু, শুনছি পেঁয়াজ বীজের অনেক দাম কেজি নাকি ১০/১২ হাজার টাকা। 

বীজ উৎপাদন কার্যক্রম প্রসঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ও হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে পেঁয়াজ বীজের ঘাটতি রয়েছে তাই আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দবির খানের মাঠে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করছি এবং প্রথম থেকেই আমরা  নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে কারিগরি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি যাতে ভাল মানের বীজ পেতে পারি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন বলেন, জাজিরাতে সাধারণত কন্দ থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন করা হয়ে থাকে যার স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক কম এবং উত্তোলনের পরপরই কৃষক বিক্রি করে ফেলে। ফলে মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই আমাদের দেশে পেঁয়াজের একটা সংকট তৈরি হয়। সরকার সংকট মোকাবিলায় কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও মশলা বীজ উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই বীজ থেকে উৎপাদিত পেঁয়াজ দীর্ঘ কালীন সংরক্ষণ করা যায় ফলে কৃষক উপকৃত হবে।