• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রশ্নে বিভক্ত বিএনপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২০  

জনগণের উপর আস্থা না থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। এ নির্বাচন ঘিরে কয়েকদিন তৎপর থাকে দলটির হাইকমান্ড। এরপর তাদের আর কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না। সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার নেপথ্যে গঠন করা হয় ঐক্যফ্রন্ট। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির অভ্যন্তরীণ এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো মন্তব্য প্রকাশ না করার জন্য সবাইকে সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সিদ্ধান্তে এমন মতানৈক্যের কারণে দলের হাইকমান্ড, শীর্ষ ও সিনিয়র নেতারা বিব্রত বোধ করছেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা জানান, বৈঠকের শুরুতেই তারেক রহমান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলের সিনিয়র নেতাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। তখন প্রকাশ্যে কোনো বিরোধিতা করা হয়নি। তিনি জানতে চান, তাহলে এখন কেন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা হচ্ছে?

এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। তখনকার প্রেক্ষাপটে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে অনেকে কথা বললেও, একটি অংশ পুরোপুরি নীরব থাকেন। পুনরায় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নীরব থাকা অনেকেই গোপন সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা ছিল শতভাগ। কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ।

ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা প্রসঙ্গে তারা বলেন, নির্বাচনে তার কি ভূমিকা? নির্বাচনের জন্য এত কিছু করলেন অথচ তিনি নিজেই অংশগ্রহণ করলেন না। তিনি একটা দলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন? আর বিএনপি সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। 

দলের কিছু তেলবাজি নেতা আছে যারা নিজেদের পদ-পদবী ধরে রাখার জন্য এবং নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা বিএনপিতে সেসব নেতাদেরই একটি কৌশল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বেশ বাকবিতণ্ডা হয়।