• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জামানত হারানোর ভয়ে উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২০  

জনসমর্থন না থাকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রার্থীদের জামানত হারানোর ভয়ে আসন্ন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।

দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।  তারা বলেন, কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। বিএনপিতে এখন এই অবস্থা বিদ্যমান। শুধুমাত্র তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে যেমন ৬ জন এমপি সংসদে যোগ দিয়েছিলেন, তেমনি তার একক সিদ্ধান্তেই আসন্ন এই উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।

তারা বলেন, এখানে দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। মূলত ওই আসন গুলোতে জনসমর্থন নেই এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি। ফলে নিশ্চিত পরাজয় জেনে লজ্জা থেকে বাঁচতেই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গতকাল সোমবার উপনির্বাচন বর্জন করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশ নেয়া স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আসলে দলের মধ্যে আমাদের এখন প্রাধান্য দেয়া হয় না। তিনি বলেন, দলের একজনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেন, আমরা শুধু বাস্তবায়নকারীর ভূমিকা পালন করে থাকি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা যখন সবাই ফলাফল বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ও সে অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে তার ঘোষণাও দিয়েছিলাম। কিন্তু সে সময় আমাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে ৬ জন এমপি সংসদে যোগ দেন। এবারের বিষয়টিও তাই।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের নাটক দেশে নতুন কিছু নয়। তারা বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিএনপি আজ পঙ্গু এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত প্রতিটি জেলার নেতাকর্মীরা। নেই কোনো দলীয় কার্যক্রম। তাই জনসমর্থন না থাকায় নির্বাচনে জামানত হারানোর ভয়ে তারা এই নাটক করছে।