• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন: কাদের

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক হিসিবে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি “জয় বাংলা”কে করেছিলেন নিষিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। উগ্র সাম্প্রদায়িকতার উৎসমুখ জিয়াউর রহমানই উন্মুক্ত করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।’

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ আগস্ট নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিই খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি এবং খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করেছেন। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন।’

বিএনপিকে এসব সত্য উপলব্দি করার আহ্বান জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাসকে বিকিয়ে দিয়ে রাজনীতির ইতিবাচকতা ফিরিয়ে আনা যাবে না। রাজনীতিকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। জেনারেল জিয়া রাজনীতিকে কলুষিত এবং হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে রূপ দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রকে করেছিলেন মুঠোবন্দী। বিএনপি সরকারে এলে আবারও এসব ফিরে আসবে এবং দেশে খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে যাবে।’ তিনি এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না।’

আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্যান্য ধাপের মতো আগামীকালের নির্বাচনেও সরকার কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করবে না।’

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থীতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা বা গাইড লাইন ইতোমধ্যেই জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটিতে সভা করে এক থেকে তিন জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। স্থানীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সুপারিশকৃত নামসমূহ যাচাই বাছাই ও বিভিন্ন জরিপ শেষে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীতা চূড়ান্ত করবে।’