• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপি এখন সংকটে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২০  

গণআন্দোলন গড়ে তোলার পারদর্শিতা না থাকলেও সন্ত্রাস-সহিংসতা করার সক্ষমতা আছে বিএনপি। বিশেষ করে জামায়াতের সঙ্গে দীর্ঘ রাজনৈতিক সখ্যতা তাদেরকে সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বেশি সক্ষম করে তুলেছে। 

বিএনপিপন্থী অনেকেই এখন বলছেন, আন্দোলনের নামে জ্বালাও- পোড়াও করে বিএনপি আজ সংকটে। তারা জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা এখন কার্যত জামায়াতের টিমেই পরিণত করেছে। হেফাজতের কর্মসূচির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন, গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অবস্থান, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের প্রশ্নে দোদুল্যমান অবস্থান, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহিদের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে সেই রূপের প্রকাশ ঘটেছে বিএনপির। জনগণের মনে তো প্রশ্ন থাকতেই পারেন যে দল স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলে, সেই দল কাদের জন্য রাজনীতি করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের দল। আন্দোলন করে দেশের মানুষের অধিকার আদায় করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ সংগ্রাম করে এদেশের জনগণের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে সেই দলকে পছন্দ করে দেশের মানুষ।

তারা বলেন, বিএনপি কিন্তু তা নয়। অনেকে বিএনপিকে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকারীদের দল মনে করে। দুই দলের জন্ম-প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যায়। 

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে অনেক সফল গণআন্দোলন হয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বও দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে দেশের কোনো কল্যাণ হয়নি। বরং তারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালিয়ে ক্ষতি করেছে দেশের মানুষের জানমালের । দেশের জনগণ তা বুঝতে পেরে বিএনপিকে একঘরে করে রেখেছে। 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে যে পৈশাচিক সন্ত্রাস চালায় তা কোনো দিন ভুলবে না জনগণ। তাদের এই নৃশংসতা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের দোসরদের নির্মমতার সঙ্গেই কেবল তুলনা করা যায়।

বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমার শিকার হয় নিরীহ বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার সদস্য। স্কুলের শিক্ষক ও শিশুসহ অনেকে প্রাণ হারায়। অনেকে আগুনে দগ্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সেসময় সন্ত্রাস বোমাবাজি উপেক্ষা করে  গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলো দেশের মানুষ । কিন্তু গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসি মুখে জীবনযাপন করবে তা তাদের সহ্য হয় না।

বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের একটি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, পেট্রোলবোমায় ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হয়। ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেয়া হয়। পরিকল্পিতভাবে ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এক অনুষ্ঠানে বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালতের রায়ের মাধ্যমে বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির নেতাদের যেন হুকুমের আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়- সে দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৫ সালে বিএনপির আগুনবোমা সন্ত্রাসের সময় হাসপাতালের একটি বার্ন ইউনিটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে আমি আঁতকে উঠেছিলাম। এই ভয়াবহ দৃশ্য ছিলো অকল্পনীয়। এই আগুনবোমা রাজনীতি হতে পারে না। এটা ছিল স্পষ্টই সন্ত্রাসবাদ।