• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২১  

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনের মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরো দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত তারা এ সাক্ষ্য দেন। এরা হলেন- দুদকের উপ-কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকী ও উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। 

এর আগে আসামি ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরে সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। 

তবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

গত ২০ অক্টোবর একই আদালত ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চার জনের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আদালত ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এরপর গত ২২ নভেম্বর মামলার বাদী দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আদালতে সাক্ষ্য দেন। 

এর মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পলাতক দুই আসামি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না রহমান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেন। এছাড়া মিজানুর রহমান নিজে নমিনী হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর একাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পরে সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে-আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে নেয়া হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রীর নামে কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে, তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গত ২ জুলাই আদালত জামিন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। 

এরপর গত ১০ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে কারাগারে থাকা এসআই মাহমুদুল হাসানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।