• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ডিজিটাল উন্ননের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হচ্ছে হ্যাকার ও জঙ্গিবাদ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার এস.এম আশ্রাফুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষনা দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন অর্থনীতিক কার্যক্রম, ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন সুবিধা ভোগ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে। তবে সকল ভালো কাজের পিছনে যেমন আবার দুষ্টদের কুদৃষ্টি থাকে। তেমনি ডিজিটাল উন্ননের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হচ্ছে হ্যাকার ও জঙ্গিবাদ। আর দেশে বিদেশে জঙ্গি অর্থয়নের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংকে তারা ব্যবহার করতে চায়। ফলে আমাদের নিরাপত্তা ও দেশে স্থতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এ হুমকি মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্র্যাইম ইউনিট আপনাদের পাশে আছে। তাই পুলিশের সাথে মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ও কর্মীদের মাঝে সেতুবন্ধন রচনার জন্য আজকের এ মতবিনিময় সভা।
পুলিশ সুপার আজ বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টার সময়   ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহীদ আক্কাছ-শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তনে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।  ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  মতবিনিময় সভার বিশেষ  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল)   মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ সখিপুর থানা থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার এস.এম আশ্রফুজ্জামান বলেন  বিকাশে, রকেট ও নগদ অর্থ  লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রায়ই  দেখা যায়  মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে মাদক ও জঙ্গিদের অর্থায়ন করে থাকে, আপনারা যারা এ ব্যবসার সাথে জরিত আছেন সতর্কতার সাথে  লেনদেন করবেন এবং সরকারী নিয়ম  মেনে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের মধ্যে যাদের সম্ভব নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসবেন। শুধু আপনাদের প্রতিষ্ঠানই না যতটুকু পারা যায় প্রতিষ্ঠানের আশপাশ এলাকায়ও সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা জোরদার করবেন। আর যদি কোন অপরিচিত লোকজন বা সন্দেহজনক  মনে হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দিবেন। আমরা যার যার জায়গা  থেকে সচেতন হলে সকল প্রকার দুর্ঘটনা  থেকে  রেহাই পাবো। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আপনাদের পাশে পুলিশ সহায়তার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত  রয়েছে। আপনারা সাহায্য চাইলে পুলিশ সহায়তার জন্য এগিয়ে যাবে। এ সময় ব্যবসায়ীগন তাদের সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্যে রাখেন।