• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দীর্ঘতম দিনে বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখতে শঙ্কা-সতর্কতা!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২০  

২১ জুন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন। বিজ্ঞানের ভাষায় ‘সামার সলস্টিস’ বলা এ দিন হচ্ছে আগামী রোববার। সেই দিনে বলয়গ্রাস গ্রহণে ঢাকা পড়তে পারে সূর্য! তবে ভারতের তিন এলাকা থেকে কিছুটা বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে। অন্যান্য অঞ্চল থেকে আংশিক গ্রহণ দেখাও যেতে পারে। এছাড়া গ্রহণ দেখার সময় মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার’র (পিএসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। 

আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদেন জানানো হয়, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকা থেকেই বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে। তবে কাকতালীয়ভাবে সূর্যগ্রহণ হতে পারে। তবে সূর্যগ্রহণ দেখতে নাও পারেন রাজ্যবাসী। বর্ষাকাল থাকায় প্রায় দিন আকাশে মেঘ থাকে। তাই ওই দিন আকাশে মেঘ থাকতে পারে। তাই সূর্যগ্রহণ দেখার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।

পিএসি’র কর্মকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন ২১ জুনে কলকাতায় সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২ টা ১৭ মিনিটে। শিলিগুড়িতে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে। শেষ হবে দুপুর ২ টা ১৬ মিনিটে।

পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে চাঁদ যখন একই রেখায় অবস্থান করে, তখনই চাঁদের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়ে। আর একে বলা হয় সূর্যগ্রহণ। অনেক সময়ে চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। সে সময়ে সূর্যের বাইরের অংশ উজ্জ্বল বলয়ের মতো দেখায়। তাকে বলা হয় বলয়গ্রাস। 

সঞ্জীব সেন জানান, অ্যালুমিনাইজ্ড মাইলার ফিল্টার বা ১৪ নম্বর শেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়ে সরাসরি সূর্যগ্রহণ বা বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা উচিত। না হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রতিবিম্ব তৈরি করেও গ্রহণ দেখা যেতে পারে।

গ্রহণ দেখাতে উদ্যোগী হয়েছে বিভিন্ন সংস্থাও। করোনা সংক্রমণের জেরে অনেকে নেট দুনিয়াকে বেছে নিয়েছেন। বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম জানায়, ২১ জুন তারা টেলিস্কোপের প্রতিবিম্ব তৈরি করে সেটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে সম্প্রচার করবে। যদিও মেঘের আড়ালে গ্রহণ ঢাকা পড়বে কি না, সেই প্রশ্ন জোরালো করছে বর্ষার সক্রিয়তা। 

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে বর্ষা। ওই অক্ষরেখার ফলে আগামী দুই দিন রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টি হতে পারে।