• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দুর্গত এলাকায় সফরে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২১  

১৯৭৩ সালের এই সময়টা ছিল দেশের জন্য ভয়াবহ দুর্যোগের। একের পর এক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষ। পরের দিন (১২ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্যাকবলিত কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট জেলা সফরে যাবেন বলে এ দিন (১১ মে) খবর প্রকাশ করা হয়। তাঁর সঙ্গে যাবেন ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এবং  সংসদ সদস্য এবিএম মূসা। বাসসের খবরে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর সেদিনই সন্ধ্যায় রাজধানীতে ফিরে আসার কথা।

বন্যাকবলিত এলাকায় রেডক্রস চেয়ারম্যান

দেশের বন্যাকবলিত মানুষদের এদিন সব রকম সাহায্যের  আশ্বাস দেন বাংলাদেশ রেডক্রস সমিতির চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা। কুমিল্লার বন্যা প্লাবিত এলাকা থেকে ফিরে এসে তিনি বাসসকে জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় যেসব দল কাজ করছে, তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে সব ধরনের সাহায্য করার জন্য  সম্ভাব্য সব সম্পদ ও জনশক্তি মোতায়ন করতেও তিনি নির্দেশ দেন। কুমিল্লা ও সিলেট এলাকায় কাজ করছেন যেসব চিকিৎসক, তাদেরকে কর্মতৎপরতা জোরদার করতে বলা হয়। রেডক্রস এরচেয়ারম্যান সফর থেকে ফিরেই বিপুল পরিমাণ সাহায্য দ্রব্য পাঠিয়েছেন কুমিল্লার বন্যাকবলিত এলাকায়। এসব ত্রাণের  মধ্যে আছে কাপড় ও  ওষুধ। সেখানে ঢাকা থেকে একটি চিকিৎসক দলও পাঠানো হয়েছে।

 ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল প্রকাশিত পত্রিকার শিরোনাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সারা বিশ্বের সমর্থন

পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, বিশ্বের সর্বত্র শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগণ তা সমর্থন করেছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন। ১১ মে এনা পরিবেশিত এই খবরে বলা হয়, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন গত ২৪ এপ্রিল আবিদজানে অনুষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারি সম্মেলনের ২৮তম কাউন্সিল অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন। প্রতিনিধি দলটি গতকাল (১১ মে) দেশে ফিরে আসে।

 ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিলের দি বাংলাদেশ অবজারভার জাতীয় অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়

দ্রুত অবনতিশীল জাতীয় অর্থনীতি ও তার কৃষ্ণপ্রাণ শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ অবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এনার বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই অবস্থা প্রতিরোধের জন্য অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত বণ্টন ব্যবস্থা, সর্বাধিক উৎপাদন এবং সুশৃঙ্খল ও সমন্বিত অর্থনৈতিক তৎপরতার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহণ করা না হলে আমাদের অর্থনীতি— যা প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তাতে প্রাণশক্তি সঞ্চার করা কখনও সম্ভব হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে— সর্বোচ্চ পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করা।’ তিনি উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের মিল-ফ্যাক্টরিগুলোতে উৎপাদনের হার দারুণভাবে কমেছে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, অথচ সেই অনুপাতে উৎপাদন দেখাতে পারেনি। সে কারণে আসন্ন পাট মৌসুমের জন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ৯০ কোটি টাকা প্রদানে সংকটের সম্মুখীন হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে না।’