• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দেশের ফার্নিচার খাতের রপ্তানি বেড়েছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০  

গত চার বছরে দেশের ফার্নিচার খাতের রপ্তানি দেড় গুণ হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও চাহিদা বাড়ছে দেশি ব্র্যান্ডের ফার্নিচারের। উদ্যোক্তারা বলছেন, কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমালে রপ্তানিতে আরো বড় ভূমিকা রাখবে ফার্নিচার। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, অন্য রপ্তানি শিল্পের মত এ খাতেও যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করে কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা দেয়া উচিত।

মানুষের বাসস্থানের পরিকল্পনায় আসবাবপত্র থাকে গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হিসেবে। আধুনিক ও আরামদায়ক জীবন যাপনে এর গুরুত্ব দিন দিন আরো বাড়ছে। আর্থিক সক্ষমতা আর ব্যস্ততা বাড়ায় রেডিমেইড ফার্নিচারের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ফার্নিচার রপ্তানির পরিসংখ্যান নতুন সম্ভাবনার জানান দিচ্ছে। আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ব্যবহারে গড়ে উঠছে বড় আাকারের কারখানাও। শ্রমঘন এ শিল্প থেকে চীন ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই সরকারের নীতি সহায়তা পেলে রপ্তানি বাজার আরো দ্রুত বাড়বে বলে দাবি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের।

হাতিল ফার্নিচারের এমডি সেলিম এইচ রহমান বলেন, 'কিছু সুবিধা পেলে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর এক্সপোর্ট হওয়া সম্ভব।'

পার্টেক্স ফার্নিচারের সিওও সুশীল চন্দ্র ঘোষ বলেন, 'ফার্নিচারের মূল কাঁচামালগুলো এই দেশে ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হলে এই খাতকে ভালোভাবে সার্ভ করতে পারবো না।'

ফার্নিচার শিল্পের রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে সম্প্রসারিত করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা গ্রান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্যমতে,বর্তমানে ফার্নিচারের বিশ্ববাজারের আকার ৫৬০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছর ফার্নিচার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১০ কোটি ডলার।