• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

‘দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন, এখন কাঁদছেন কেন’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০  

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম রিমান্ড শুনানিকালে এক পর্যায়ে আদালতে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার করোনা আক্রান্ত হই। আমার বাবা করোনায় মারা যান।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি আব্দু্ল্লাহ আবু বলেন, এখন কাঁদছেন কেন? আপনারা তো করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। রাষ্টপক্ষের এই আইনজীবী রিমান্ড শুনানি শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে দশটায় সাহেদকে ডিবির কালো গ্লাস ঘেরা একটি গাড়িতে করে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। কড়া নিরাপত্তায় এজলাস কক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। ডিবির পক্ষে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

শুরুতে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী করোনার চিকিৎসা রিজেন্ট হাসপাতালের ফ্রি করার কথা। কিন্তু তারা চার-পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তাছাড়া বিদেশগামীদের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি দোষী না হলে কেন বিদেশে পালানোর চেষ্টা করলেন?

অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী নাজমুল হাসান বলেন, রিজেন্টের প্যাডে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে হাসপাতালের এমডি উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করেন। এই এজাহারের অভিযোগও একই। তাই জিডির তদন্ত আগে হওয়া উচিত। তাছাড়া তিনি অসুস্থ, তার বাবা মারা গেছেন করোনায়। তাকে এই অবস্থায় জামিন দেওয়া হলে পলাতক হবেন না।

এরপর সাহেদ আদলতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার করোনা আক্রান্ত হই। আমার বাবা করোনায় মারা যান।

তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এখন কাঁদছেন কেন, ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে আপনারা বিদেশে পর্যন্ত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ‍শুনানি শেষে বিচারক সাহেদ ও রিজেন্টেরর এমডি মাসুদ পারভেজের ১০ দিন করে এবং তারেক শিবলীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।