• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

নড়িয়ায় নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি ও চাল বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের উত্তর কেদারপুর এলাকার ৩৪ টি ভাঙনে ক্ষ‌তিগ্রস্থ প‌রিবার‌কে শা‌ড়ি, লু‌ঙ্গি ও চাল বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে। সোমবার দুপু‌রে ‌কেদারপুর এলাকায় প‌রিবারগু‌লোর মা‌ঝে ৩০ কে‌জি চালসহ শা‌ড়ি, লু‌ঙ্গি বিতরণ করা হয়।

এ সময় নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রূপা রায়, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফেজ সানাউল্লাহ, মিহির চক্রবর্তী, বিল্লাল মেম্বার, রফিক মেম্বারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত বছর নড়িয়ার আট কিলোমিটার এলাকা জুরে ব্যাপক ভাঙন ছিল। ভাঙনে ওই এলাকার ৫ হাজার ৮১ পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলিন হয়ে যায়। ভাঙন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এক হাজার ৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পর অনুমোদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নৌবাহীনির প্রতিষ্ঠান খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডকে ওই কাজের কার্যদেশ প্রদান করেন। যার মধ্যে ৫৫২ কোটি টাকা ব্যায়ে নড়িয়ার সুরেশ্বর হতে জাজিরার কায়ুম খার বাজার পর্যন্ত আট দশমিক নয় কিলোমিটার অংশে নদীর তীর রক্ষার কাজ। বাকি টাকা দিয়ে নদীর চরখনন করা হবে। গত বছর ১২ ডিসেম্বর ওই প্রকল্পের নদীর তীর রক্ষার কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে তিন বছরে। প্রথম বছরে ৪০ লাখ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। দ্বিতীয় বছর ও তৃতীয় বছরে ৩২ লাখ ৫০ হাজার সিসি ব্লক ফেলা ও প্রকল্পের অন্যান্য কাজ করার কথা। ইতোমধ্যে পাউবোর  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ নড়িয়া ও জাজিরার সাত কিলোমিটার এলাকায় ৩৩ লাখ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছে। আর ২৫ হাজার সিসি ব্লক ফেলেছে।

গেল ১৯ সেপ্টেম্বর হতে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে ¯্রােত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত নড়িয়ার উত্তর কেদারপুর এলাকায় নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের ২৮০ মিটার অংশ ধসে যায়।  এমন পরিস্থিতিতে ওই স্থানের ধস ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো শুরু করে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১১ হাজার বালুর জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে এবং ৫ হাজার সিসি ব্লক ফেলেছে ।

উল্লেখ্য, ভাঙ্গন এলাকায় আজ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি’র পক্ষ থেকে তিন বেলা খাবার, রাতে লাইটিংসহ সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।