• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পদ্মা সেতু: বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: ৪১টি স্প্যান বসানোর ফলে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু। যে সেতুটি দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ পাড়াপাড় হবে। আজ শেষ স্প্যানটি বসানোর ফলে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় লাভ করলো বাংলােদশ।

শরীয়তপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সী বলেন, আজ এই বিজয়ের মাসে (১০ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটি সেতুতে বসলো। তাই আমরা শরীয়তপুরবাসীসহ তথা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ অত্যান্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, প্রথম স্প্যানটি বসানোর সময় আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি সেদিন থেকে আসাবাদী ছিলাম কবে শেষ হবে স্প্যান বসানো। আজ স্প্যান বসানো শেষ হলো। আর অল্প সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হয়ে যাবে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। যিনি সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিলেন আমরা পারি পদ্মার বুকে সেতু করতে। মনে হচ্ছে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয়।

শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষিত আকাঙ্ক্ষার বিষয় হলো পদ্মাসেতু। আজ সর্বশেষ স্প্যানটি বসলো। পুরোপুরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতু। আমাদের ইচ্ছা ছিল পদ্মাসেতু দিয়ে ঢাকা যাাব। এখন ইচ্ছা পুরনের পালা। আমি আবেগ আপ্লূত, খুব খুশি।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও লেখক আলী আহম্মদ খান বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ দেব আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কত বড় সাহসি, কত বড় কলিজা ও মনের জোর থাকলে বিশ্ব ব্যাংককের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু করে। সেতু আজ তৈরি। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-উত্তর বঙ্গের যতগুলো জেলা আছে, সেই জেলার মেহনতি মানুষ কৃষকসহ সকলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তৈরি হব শিল্প, কলকারখানা। এটা আমাদের আনন্দ ও গৌরবের।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১তম শেষ স্প্যানটি। আর এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হলো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু।

শুধু তাই নয়, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বসানো স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও দ্রুতগতিতে চলমান। সেতুতে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯১৭টি রোডস্ল্যাব। এরই মধ্যে এক হাজার ২৩৯টিরও বেশি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেলস্ল্যাব। যার মধ্যে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮৬০টিরও বেশি বসানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। প্রথম স্প্যান থেকে শুরু করে ৩৯তম স্প্যান বসানো পর্যন্ত সময় লেগেছে তিন বছরের ওপর।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।