• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রথমবারের মতো গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের আলো

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২১  

প্রথমবারের মতো গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের আলো। দুর্গম চর আলোকিত করতে নদ-নদীর তলদেশ দিয়ে টানা হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল। শত বছরের দুঃখ মুছে ফেলে এবার বিদ্যুৎ নিয়ে কৃষি আর জীবনমানে আমূল পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের মানুষজন।

বিশালাকার প্রস্থের ব্রহ্মপুত্র নদ। কোথাও ক্যানেল আবার কোথাও কোথাও জেগে উঠেছে বালুচর। দুর্গম বালুচরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে ইতোমধ্যে নদের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবল টানার কাজ প্রায় শেষ।

ফুলছড়ি উপজেলার বাজে ফুলছড়ি ও গলনার চরে চলছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপনের কাজ। বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার টানার কাজও প্রায় শেষের দিকে। আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুতগতিতে শেষ হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বালুচরে বিদ্যুৎ সরবরাহের এই প্রকল্পে ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনে বাধা ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্য সংকট।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী জানান, ইতিমধ্যে আমাদের খুঁটি স্থাপনের কাজ শেষ। এখন তারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ চলছে।

গাইবান্ধা ফুলছড়ি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উপদেষ্টা মাহবুবর রহমান বলেন, বড় ট্রান্সফরমার যেগুলো একটা ওজন ১৫ থেকে ২০ টন। সেগুলো কীভাবে আনব, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।  

ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে দুই উপকেন্দ্র থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে গাইবান্ধার তিন উপজেলার চরাঞ্চলে ৩০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

ওই এলাকার সাধারণ মানুষরা জানান, বিদ্যুৎ এসে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারব। চাষাবাদে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদের উৎপাদন বাড়বে।  

গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী মার্চের মধ্যে চরের ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলে উঠবে। বিদ্যুৎ পৌঁছালে অনেকাংশে ঘুচবে চর সমতলের বৈষম্য।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এক্সপানশন–ডিএনই, নামের এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।