• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রিন্সের দুর্ব্যবহারে পার্টি অফিসে যান না বিএনপির সিনিয়র নেতারা!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০  

গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। শেষ পর্যন্ত তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন এবং বিশ্রামে রয়েছেন। রিজভীর অনুপস্থিতিতে দলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয় এমরান সালেহ প্রিন্সকে। জানা গেছে, দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রিন্স। সরাসরি তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ থাকায় খালেদাপন্থী সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ ও অপমান করছেন । প্রিন্সের ঔধত্যপূর্ণ আচরণে পার্টি অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন দলের সিনিয়ররা। ফলে নেতা-কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে নয়াপল্টনের বিএনপি পার্টি অফিস।

বিএনপির একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, রিজভীর অনুপস্থিতিতে গেল কিছুদিন ধরে নয়াপল্টনে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। রিজভী সুস্থ থাকাকালীন দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গণমাধ্যমের সামনে সংবাদ সম্মেলন করতেন। তার সেই সংবাদ সম্মেলনে দলের অনেক ভাইস-চেয়ারম্যান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, যুগ্ম-মহাসচিব এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা যেতো। কিন্তু সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই প্রায় এক প্রকার নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে সর্বদা সরগরম থাকা নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আগের মত নেতাকর্মীদের পদচারণা নেই সেখানে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ৪ থেকে ৫টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রিন্স। তার সংবাদ সম্মেলনে হাতে গোনা দু-একজন সম্পাদক এবং সহ-সম্পাদকের বাইরে কাউকে দেখা যায়নি। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল তথৈবচ!

এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। জানা গেছে, সংস্কারপন্থী প্রিন্স দায়িত্ব পেয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে যেনো ক্ষমতার দণ্ড হাতে পেয়েছেন তিনি। মন চাইলে তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন, নতুবা অফিসে বসে নিজের কাজ করেন। শুরুর দিকে সিনিয়র নেতারা এলে তাদের পাত্তা দিতেন না প্রিন্স। দুর্ব্যবহারও করেছেন একাধিক খালেদাপন্থী সিনিয়র নেতার সাথে। যার কারণে সম্মান বাঁচাতে নয়াপল্টন পার্টি অফিসে যাচ্ছেন না খালেদার পছন্দের নেতারা। আর সিনিয়ররা না আসায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নেতারা পার্টি অফিসে আসছেন না। যার ফলে জনশূন্য হয়ে পড়েছে পার্টি অফিস। এছাড়া পার্টি অফিসের কর্মচারীদের সাথেও প্রিন্স দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।