• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ফুডপান্ডার ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকি, মামলা দায়ের

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

দেশের বৃহৎ অনলাইন খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযানে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। 

সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গত ১৫ অক্টোবর আকস্মিক পরিদর্শন পরিচালনা করে। এতে তারা ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫ হাজার ফুডস্টোর থেকে ফুড সংগ্রহ করে ভোক্তার নিকট বাইকারদের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে ফুডপান্ডার চুক্তি রয়েছে, যার আওতায় ফুডপান্ডা কমিশন পায়। 

ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার ও সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দীন অভিযানটা পরিচালনা করেন। 

ভ্যাট গোয়েন্দার পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংক্রান্ত নথিপত্র দেখাতে অনুরোধ করা হলে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ভ্যাট সংক্রান্ত নথিপত্র প্রদর্শন করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটার তল্লাশি করা হয়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্মকর্তার ল্যাপটপে মাসিক বিক্রয়ের কিছু গোপন তথ্য পাওয়া যায়। গোয়েন্দারা উক্ত তথ্যসহ আরো কিছু বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে। 

প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট সংক্রান্ত দলিলাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তারা তথ্য প্রযুক্তি সেবা অর্থাৎ সেবার কোড এস-০৯৯.১০ এর আওতায় নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। উক্ত কোডে নিবন্ধন গ্রহণ করে বাড়ি ভাড়ার উপর প্রযোজ্য মূসক পরিহার করে আসছে। এই কোডটি কোনক্রমেই তাদের ব্যবসার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি ভাড়ার উপর অবৈধভাবে শূন্য হারে ভ্যাট সুবিধা নেয়ার উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করে আসছে। 

ফুডপান্ডা প্রতিষ্ঠানটি মূলত ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক (অনলাইন প্লাটফর্ম) ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয় করে থাকে, যার প্রকৃত সেবার কোড এস-০৯৯.৬০। এই কোডের আওতায় ভ্যাট ৫% এবং বাড়ি ভাড়ার উপর ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য। 

ভুল সেবা কোড ব্যবহার, প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন এবং উৎসে ভ্যাট না দেয়ায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দা মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে প্রেরণ করা হবে।