• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:

বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পাওয়া কঠিন : মোস্তাফা জব্বার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো সর্বগুণে গুণান্বিত নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকেই শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন একজন মহান নেতা। লেলিন, চেগুয়েভার, মাও সেতুং, হুচিমিন কিংবা কার্লমার্কসসহ বরেণ্য অনেক বিশ্ব নেতৃত্বকে অধ্যয়ন করেছি, কিন্তু বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো সকল গুণের অধিকারি একজন নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন।’

তিনি সোমবার রাতে ঢাকায় মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ওয়েবিনারে ডাক ভবনে বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশন প্রকাশিত চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন এবং বিসিএস পোস্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি জেসান ইসলাম বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবলমাত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং রাজনীতিবিদ। শেখ মুজিব ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত দু’টি রাষ্ট্র গঠনের বিপরীতে একটি ভাষাভিত্তিক আধুনিক জাতিরাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী স্বপ্ন দেখেন।

তিনি বলেন, ভাষাভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা তখন ইউরোপ, জাপান, কোরিয়া বা চীনের বাইরে প্রসারিত হয়নি। এ অঞ্চলে ভাষা রাষ্ট্র ধারণা ছিলো অকল্পনীয় বরং পাকিস্তান ভারত তৈরি হয় সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জনগণকে সংগঠিত করে জনগণকে সাথে নিয়ে জনযুদ্ধ করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মোস্তাফা জব্বার ‘৬৮‘র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্র্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, আগরতলা মামলা দায়ের করার পর তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জোরালো আপত্তি জানান এবং প্রতিহত করেন। বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ, তাই বেগম মুজিবের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র নামে খ্যাত মামলা প্রত্যাহার করতেই হবে। বঙ্গবন্ধু যেন শক্ত থাকেন সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছার তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান বেগবান হয়। প্রবল গণ-অভ্যূত্থানের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্ত হলেন ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯। বঙ্গমাতার দূরদর্শিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছিল।

মোস্তফা জব্বার, কাজের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ডাক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল ডাকঘর বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে ডাকঘরকে ডিজিটাল সেবা প্রতিষ্ঠানে হিসেবে গড়ে তুলতে তার সংকল্প পুর্ণব্যক্ত করেন।
সূত্র : বাসস