• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বনানীতে অগ্নিকান্ড : শরীয়তপুরে এক পরিবারে শোকের মাতম

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯  

রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডরে এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় শরীয়তপুরের এক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ওই এফআর টাওয়ারের ১৩ তলায় একটি  প্রাইভটে কোম্পানিতে চাকরি করতনে মির্জা আতিকুর রহমান (৩৮)।
মির্জা আতিকুর রহমানের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনয়িনের র্পূবসারেঙ্গা গ্রামে।তার এ র্মমান্তকি মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নমেে এসেছে। শোকে মাতম করছনে মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সদস্য ও আত্মিয় স্বজনরা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজলোর শৌলপাড়া ইউনিয়ানের র্পূবসারেঙ্গা গ্রামের মৃত মির্জা  আব্দুল কাদিরের ছেলে মির্জা আতিকুর রহমান। চাকরির সুবাদে ১৫ বছর আগে স্ত্রী, দশ বছর বয়সি মেয়ে মির্জা তাসফিয়া আক্তার তানহা ও চার বছরের ছেলে মির্জা রাফিউর রহমানকে নিয়ে ঢাকার এসিবি চত্বর মানিকদি বাজার আমতলিতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতনে তিনি।মেয়ে 
‌ক্যান্টেমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলজেরে চর্তুথ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। আতকিুর স্ক্যানওয়াল লজিস্টক বাংলাদশে (প্রা:) লি: কোম্পানিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসবে কর্মরত ছিলেন। এফআর টাওয়ারের ১৩ তলায় অফ ছিল তার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে এফআর টাওয়ারের ৯ম তলা থকেে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে হয়, তখন আগুন ছড়িয়ে পরলে ওই ভবনের ১৩ তলার অফিসে আটকা পরেন আতিকুর। পরিবার অনেক খোঁজ করে তাকে পায়নি। পরে ওইদনি রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে  মরদেহ চিনতে পেরে সনাক্ত করেন আতিকুরের চাচাতো ভাই মির্জা বাদল। পরে শুক্রবার বেল ১১ টার দিকে মরদেহ শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুপুর দুইটার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সর্ম্পূণ হয়।
মির্জা আতিকুর রহমানের স্ত্রী এনি আক্তার পলি বলনে, তখন দুপুর ১টা ১০ মিনিট । আমার কাছে মোবাইলে আতিকুর ফোন করে। আমাকে বলে আমার জন্য দোয়া কর। তখন আমি বলি কেন একথা বলছো। তখন বলে অফিসে আগুন লাগছে। ধুঁয়ায় অফসি ভরে গেছে। আমি শ্বাস নিতে পারছি না। 
তিনি বলনে, আমার আতিকুর মারা গেছে। সন্তানরা এখন কাকে বাবা বলে ডাকবে। 
মির্জা আতিকুর রহমানের ভাই মির্জা আবুল হোসনে বলনে, এফআর টাওয়ারে আগুন লাগলে ধুঁয়ায় চার দিক অন্ধকার হয়ে যায়। সেই ভবনে আমার ভাই চাকরি করতো। সেদিন অফিস ছিল, অফিস থেকে বের হতে পারেনি ভাইটা। অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে আমার ভাই। আল্লাহ কেন এমন করলা? 
চাচাতো ভাই মির্জা বাদল বলেন, আতিকুর অনেক ভাল ছিল। তার দশ বছরের একটি মেয়ে ও চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এভাবে সে মারা যাবে কল্পনাও করতে পারিনি। তার মৃত্যু মানতে পারছি না। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যাই। লাশ এনে গ্রামের বাড়িতে দাফন করি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলনে, দুর্ঘটনায় শরীয়তপুরের একজনের মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক। জেল প্রশাসন নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেবে ।