• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি: প্রধানমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বাঙালি বীরের জাতি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশ পেয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এ উন্নয়ন এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।  বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেনলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামহারি চলছে, বহুদিন দেখা হয় না, প্রায় এক বছর পর দেখা হচ্ছে আপনাদের সঙ্গে। সেটাও সরাসরি না,ভার্চুয়ালি দেখা হচ্ছে। সেটাও ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়েছিল বলেই।

তিনি বলেন,  আজ আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি। সেই সঙ্গে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দারপ্রান্তে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শূন্য হাতে সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করে গিয়েছিলেন। তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় এ মাইল ফলক অর্জন করতে পেরেছি।

এ সময়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে এবং দেশের ভেতরে সব নাগরিককে শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে জাতির একজন সেবক আমি। আমি এ অর্জনকে উৎসর্গ করছি নতুন প্রজন্মের তরুণদের জন্য। এসময় তিনি স্মরণ করেন জাতির পিতা ও চার নেতাকে।

তিনি ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা বোন ও  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তার বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ কেবল অবহেলিতই ছিল না, এখানকার সব সম্পদ নিয়ে যাওয়া হতো, অথচ প্রায় ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যয় করা হতো ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ সম্পদ। এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতির পিতা প্রথম সোচ্চার হন এবং আন্দোলন শুরু করেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯ মাসের যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সব অবকাঠামো ধ্বংস করে রেখে যায় পাকিস্তানীরা।  সে সময় বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে জাতির পিতার হাত ধরে। কিন্তু দুভার্গ্য তিনি সব কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। ১৫ আগস্ট জাতিরপিতাসহ আমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। সে সময় প্রতিরাতে বাংলাদেশে কারফিউ থাকতো, খরা, বন্যা, দুযোর্গের দেশ ও ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিল।  সবসময়ের মতো গ্রাম ছিল অবহেলিত। দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকতো।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি নিজে ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি, জিয়াউর রহমান আসতে দেননি। জনগনের রায় নিয়ে আমি দেশে ফিরি। তারা রেহানার পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি।

তিনি আরও জানান,  ৯৬ সালে মানুষের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ সালে আমরা আবার সরকার গঠন করি, কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি ভোট দিয়ে জনগণের সেবার করার সুযোগ দিয়েছে।

জাতির পিতা শেখ মুজিব অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছিলেন। এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, একটি মানুষও বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে নগদ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সাল ছিল সংকটময়। এত সংকট পেরিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমাদের এ অর্জনকে সুসংহত ও টেকসই করতে হবে।