• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

বিএনপিতে গৃহদাহ এখন তুঙ্গে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিতে গৃহদাহ এখন তুঙ্গে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় হামলা করতেও কুণ্ঠিত হয়নি বিদ্রোহী কর্মীরা।

ঢাকা-১৮ এর উপনির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা মির্জা ফখরুলের বাসায় এ হামলা চালায় গত ১০ অক্টোবর। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, সন্ত্রাসীরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই হামলার দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে নিজ দলের অনেক নেতাকর্মীদের।

ওই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন নয় নেতা। দল মনোনয়ন দেয় যুবদলের ঢাকা মগহানগর (উত্তর) কমিটির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে। যার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অভিযোগের পাহাড় জমা ছিল। স্থানীয় প্রায় সব নেতৃত্বই তাকে মনোনয়ন না দিতে নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু নীতিনির্ধারকরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের তোয়াক্কা না করেই মনোনয়ন দেয় জাহাঙ্গিরকে। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে বঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা মহাসচিবের বাসার সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মির্জা ফখরুলের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ডিম নিক্ষেপ করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহাসচিব তখন বাসাতেই ছিলেন। ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।

এর আগে মনোনয়নবঞ্চিতদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নজির থাকলেও মহাসচিবের বাসায় হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। হামলার পর দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে সরকারের এজেন্টরা জড়িত বলে দাবি করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে হামলার ওই ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন।

দলীয় সূত্র মতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ঘটনাটি সরকারের এজেন্টদের কাজ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। অবশ্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’—
এমন প্রয়াস প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। এটা সকল রাজনৈতিক দলই করে থাকে। কোনো কিছু নিয়ে বেকায়দা অবস্থা তৈরি হলেই প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেরা পানি থেকে ডাঙায় ওঠা হাঁসের মতো পালক ঝাড়া দিয়ে শরীর ঝরঝরের চেষ্টা করে।

সরকারের এজেন্টরা মহাসচিবের বাসায় হামলা করেছে বলে বিএনপি দাবি করলেও একদিন পর তারা দলের স্থানীয় ১২ নেতাকে ওই ঘটনার দায়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে। এখন প্রশ্ন হলো, ওই ১৩ জন কি আসলেই সরকারের এজেন্ট? যদি তারা সরকারের এজেন্ট-ই হয়ে থাকেন তাহলে এমন এজেন্ট বিএনপিতে আর কতজন আছেন?

ওই ঘটনা বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি করেছে। দলের তৃণমূল কর্মীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, দলের এই চরম দুর্যোগের মুহূর্তেও যদি নেতারা ঐক্যবদ্ধ এবং দলের স্বার্থ ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিতে না পারেন, তাহলে দলের ভবিষ্যৎ কী?

ইতোমধ্যে বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতার সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বীর-বিক্রম এবং ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর বীর-উত্তমের দেয়া বক্তব্য দেশব্যাপী বিএনপির তৃণমূলসহ রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনার জন্ম দেয়।

তাদের ওই বক্তব্য নিয়ে একাধিক দৈনিকে বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, হঠাৎ কেন তিন সিনিয়র নেতা দলের শীর্ষনেতৃত্ব নিয়ে এমন খোলামেলা সমালোচনা করলেন। অতীতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও বা সিনিয়র নেতাদের মনে কোনো ক্ষোভ থাকলেও এভাবে খোলামেলা আলোচনা কখনোই হয়নি। তাহলে এখন কেন? বিষয়টি অনেকের কাছেই কুয়াশাচ্ছন্ন!

তাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এরশাদ সরকারের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের মন্তব্য ছিল খুব কঠোর ও চাঁছাছোলা। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কীসের আপসহীন? আপস না করলে উনি জেল থেকে বের হলেন ক্যামনে? সরকারের কথা শুনেই তো বেরিয়েছেন। বেগম জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন, তার একটিই কারণ। তিনি জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী।’ এ প্রসঙ্গে তিনি (শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন) খালেদা জিয়ার লেখাপড়া জানা, না জানা প্রসঙ্গের পাশাপাশি তাকে দেয়া কথা রাখেননি বলেও মন্তব্য করেন।

অপরদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ১/১১-এর সংস্কারপন্থী অংশের মহাসচিব মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর-বিক্রম বলেন, ‘আমরা, নেতাকর্মীরা সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলেছি। এ কারণে বেগম জিয়া জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’

বিএনপির অপর ভাইস চেয়ারম্যান এবং দলের মধ্যে কাঠখোট্টা হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম বলেন, ‘তারেক রহমান কতটুকু দল চালাতে পারবেন, তা আপনারাও দেখেন, আমিও দেখি। লন্ডনে বসে কথাবার্তা, ভাব আদান-প্রদান করা কঠিন। তিনি তো খোমেনি নন।’

যদিও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন নিজ বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিকট এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিঠিও দিয়েছেন। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসার নজির শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জীবনে অনেক আছে। অন্য দুই নেতা এখনও তাদের বক্তব্যে অটল রয়েছেন বলেই জানা গেছে।

বিএনপির ওই তিন সিনিয়র নেতার বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ। তারা তাদের বহিষ্কারও দাবি করেছেন। কেউ কেউ তাদের সরকারের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে দল ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও অভিযোগ এনেছেন। তবে এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখনও নীরব রয়েছেন।

নিজের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আমি অন্যায় কিছু বলিনি। আমি বলেছি যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে এখন যারা আছেন, তাদের বয়স হয়েছে, অনেকেই অসুস্থ। ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। তাই স্থায়ী কমিটিতে যে শূন্য পদগুলো রয়েছে সেখানে যোগ্য ও তরুণ নেতৃত্ব বসিয়ে নতুন পরিকল্পনায় দল পরিচালনা করলে ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘তারেককে নেতা মানার প্রশ্নই ওঠে না। আমি কারও দয়ায় রাজনীতি করি না।’

তবে, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তাদের বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রচণ্ড ক্ষুব্দ। কিন্তু দেশে অবস্থানকারী নেতারা এখনই এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়া বা তিন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে নন। দলের শোচনীয় এই অবস্থায় কোনো ধরনের ভাঙন বা বিভক্তি তারা চান না।

অনেকদিন ধরেই তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে সিনিয়রদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের কথা শোনা যাচ্ছিল। তিনি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করার সময় নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সিনিয়রদের কোনো কথাই শোনেন না তারেক রহমান। উপস্থিত নেতারা শুধু তার বক্তব্য মাথা নেড়ে সমর্থন জানিয়ে যান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম তার হুকুম তামিল ছাড়া আর কোনো ভূমিকা রাখেন না। আবার মির্জা ফখরুলকে সবসময় চাপে রাখার জন্য দলের দফতরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবির রিজভীকে ব্যবহার করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলের মধ্যে এমনও প্রচলন আছে যে, ‘কার্যত দলের মহাসচিব রিজভী, ফখরুল নন। ফখরুল মাত্র শোপিস।’

অন্যদিকে, দলের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এমন অভিযোগও রয়েছে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে। প্রচার আছে, সিনিয়রদের একপাশে সরিয়ে রেখে অপেক্ষাকৃত জুনিয়রদের সামনে টেনে আনতে চান তারেক রহমান। ভবিষ্যতে দলের মধ্যে তার নেতৃত্ব যাতে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন, সেজন্য নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করতে চান তিনি। সম্প্রতি উপনির্বাচনগুলোতে মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তার একক সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিতে তারেক রহমানের কথাই শেষ কথা। গণতন্ত্রের জন্য ‘লড়াইরত’ দল বিএনপিতে গণতন্ত্র কতটা আছে, এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। অবশ্য ভেতরে ভেতরে অনেকে ক্ষোভ পুষলেও মুখে কিছু বলেন না। দলটির তরুণ নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের অনুসারী হলেও প্রবীণ নেতাদের অবজ্ঞা করা এবং রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ কতিপয় জুনিয়র নেতাকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে লন্ডনে তারেক রহমানকে ঘিরে থাকা কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তির কার্যকলাপ দলটির ভেতরে বিদ্রোহের তুষের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারেক রহমানের কাছাকাছি থাকা ওইসব ব্যক্তির কারণে অনেক প্রবীণ নেতা দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের ইতোমধ্যে গুটিয়ে নিয়েছেন।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি, যার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, তার প্রচণ্ড দাপটের কাছে অসহায় হয়ে কসবা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি মশিউর রহমান দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গেছেন। ওই ব্যক্তি দেশে অবস্থানরত তার ভাইকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। শুধু তার ভাই তারেক রহমানের একান্তজন, এই পরিচয়ে তিনি এলাকার নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট দেখিয়ে আসছেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশকে নানাভাবে ম্যানেজ করে মূল দল ও অঙ্গ-সংগঠনের কমিটি বানানোর অভিযোগও উঠেছে। এর সঙ্গে আছে টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি বানানোর পুরনো অভিযোগ। কমিটি করতে নাকি বহু টাকা ব্যয় হয়।

বিএনপির বর্তমান লেজেগোবরে অবস্থার জন্য যে শীর্ষ নেতৃত্বের অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত দায়ী, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন। দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানুষ যখন সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে তখন বিএনপিতে দেখা যাচ্ছে উল্টো দৃশ্য। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দলের নয়, কোটারী স্বার্থ রক্ষায় চেষ্টারত। ফলে যে গৃহদাহে পুড়ছে বিএনপি, তা সহসাই শেষ হবে— এমন সম্ভাবনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখছেন না।