• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বিপদে ধৈর্য্যধারণ করুন ত্রাণের কোন সংকট হবেনা-পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী,আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন বাংলদেশের মানুষের ত্রানের কোন সংকট হবেনা। তিনি সারাজীবন তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আর্দশে বাংলা ও বাঙ্গালীর সুখের জন্য তার সুখ বিসর্জন দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কোন দূর্যোগে আপনাদের পাশে আছেন। তারই নির্দেশে দেশের উপুর্যপরি দূর্যোগ মুহুর্তে ও তার কর্মী হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। তিনি আরো বলেন, মানুষের দুর্দিনে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সকল সংগঠনের নেতা কর্মীরা আমাদের নেত্রীর আহবানে সারা দিয়ে করোনার পাশাপাশি বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি সোমবার ২৭ জুলাই শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বন্যা দূর্গত এলাকা পরির্দশন, দূর্গতদের মাঝে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আশ্রাফুনেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ কালে এ কখা বলেন। এর পূর্বে উপমন্ত্রী ১১ কোটি,৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে সুরেশ্বর গোসাইরহাট ভায়া ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা সড়রকের পুর্ননির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। মন্ত্রী নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া, কেদারপুর ঘড়িষার ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়ন্তী রূপা রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন,নড়িয়া পৌরসভা মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চুন্নু, কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফেজুর রহমান, ঘড়িষার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুর রব খান, ফজলুল হক মালৎসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, করোনা দূর্যোগের মধ্যে নতুন করে সৃষ্ঠ ভয়াবহ বন্যার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে সরকারের মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা সবোর্চ্চ ঝুকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী  শেখ হাসিনা মানবতার জননী  তার আমলে কেউ না খেয়ে থাকেননি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের কোন  মানুষ না খেয়ে থাকুক, তিনি সেটা চান না। করোনা দুযোর্গে বাংলাদেশেও কোথাও কেউ না খেয়ে থাকেনি। ইনশাল্লাহ বন্যায়ও কেউ না খেয়ে থাকবেনা।

বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষনিক সকল বিষয় খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা বন্যা পরিস্থিতি নজরদারি করছি। মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বক্ষনিক মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে। কোথাও বন্যা হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলার জন্য ২৯৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পালেরচর, বড়কান্দি, বিলাশপুর, কুন্ডেরচর, জাজিরা, পূর্বনাওডোবা, চরআত্রা, নওপাড়া, ঘড়িসার, কেদারপুর, চরভাগা ও উত্তর তারাবুনিয়া, চরসেন্সাস ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথে বাড়তে থাকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি।  চোখের পলকে নদী বক্ষে বিলীন হয় তারাবুনিয়া ষ্টেশন বাজারের অন্তত ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান শাখা আজ পর্যন্ত জেলার ৬৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৪৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রায় ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। সরকারি হিসেবে নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়েছে ২৩৬ পরিবার। সাড়ে ১২ লাখ নগদ টাকা, ৬শত ৫০ মে.টন জি.আর এর চাল, ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ৪ লাখ টাকার গো-খাদ্য, ১৫টি আইটেম সমেত ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাদ্য, ১ শতটি পরিবারের জন্য ১ শত বান্ডেল ঢেউ টিন ও ৩ হাজার করে নগদ ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪০ হাজার ৭ শত পরিবারের মাঝে ৪ শত ৭০ মে.টন চাল সহ অন্যান্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।