• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বেশি আয়ের লোভে ফটোগ্রাফি পেশা ছেড়ে মলমপার্টিতে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২১  

পেশায় কেউ ছিলেন দোকানের কর্মচারী আবার কেউ ছিলেন ফটোগ্রাফি পেশায়। বর্তমানে এসব পেশায় আয়-রোজগার কম হওয়ায় তারা পেশা বদলে ছিনতাই-মলমপার্টিতে যুক্ত হয়। রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে থেকে অভিযান চালিয়ে মলমপার্টির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা স্বপন (৫২), ফিরোজ (৪০), মাসুদ রানা (৫১), শহীদুল ইসলাম (৫১), জাকির হোসেন জাকির (৫৫), শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল (৩৩) ও হাবিবুর রহমান সিরাজ ওরফে সিরাজ মুন্সী (৫০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট কৌটাভর্তি মলম, ছোট একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাইগার বাম জাতীয় মলম, একটি স্টিলের ছোট কাঁচি, একপাতা ঘুমের ওষুধ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

jagonews24

তিনি বলেন, গ্রেফতাররা পূর্বে অন্য পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আয়-রোজগার কম হওয়ায় ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দ্রুত বেশি টাকা আয় করার জন্য যুক্ত হয় মলমপার্টিতে। আব্দুল্লাহপুর বেড়ীবাঁধ রোডের শিকদার এন্টারপ্রাইজের সামনে থেকে গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এই মলমপার্টির সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মলমপার্টির সক্রিয় সদস্যরা একত্র হয়ে কৌশলে সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে চেতনানাশক ওষুধ ও মলম প্রয়োগ করে টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রের আটজন সদস্য ছিল। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছে। চক্রটি কোথায় অভিযান চালাবে এর আগে তারা জায়গাটি আগে রেকি করে নেয়। এছাড়াও তারা যে বাসে অপারেশন করে সেই বাসের কন্টাকটরও বিষয়টি জেনে থাকে। তাকেও এই টাকার ভাগ দেয়া হয়।

ওমর ফারুক বলেন, অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কেউ ১৪ বছর আবার কেউ এক/দুই মাস ধরে কাজ করছে। এদের কেউ দোকানদার, কেউ ফটোগ্রাফার পেশায় ছিলেন। তারা কম পরিশ্রমে বেশি টাকায় আয় করার লোভে এই পেশায় এসেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

jagonews24

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, মলমপার্টির সংখ্যা কত এমন পরিসংখ্যান- এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঢাকা মহানগর উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার খালিদুল হক হাওলাদার, সহকারী মোহাম্মদ জহিরুল হক ও এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।