• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভিটামিন ‘ডি’র অভাবই করোনায় মৃত্যুর বড় কারণ!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুহারের সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’র যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গবেষকরা। ১০টি দেশ থেকে করোনা রোগীদের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের পর ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে গবেষকরা দাবি করেছেন, ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

সূর্যালোকে আমাদের ত্বকে ভিটামিন ‘ডি’ সংশ্লেষিত হয়। কিন্তু ত্বক বাঁচাতে অনেকেই গায়ে রোদ লাগাতে চান না। ফলে শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় যে ভিটামিন ‘ডি’ থাকা জরুরি তা থাকে না। এই ঘাটতিই করোনায় মৃত্যু ডেকে আনছে।

এ দাবির পেছনে গবেষকদের যুক্তিও রয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ও স্পেনের লোকজনের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা খুবই কম।

এ কারণে করোনায় দুইটি দেশে মৃত্যুহারও বেশি গবেষকদের কথা অনুযায়ী, কড়া রোদ এড়িয়ে চলায় এই দেশগুলোতে ত্বকের পিগমেন্টটেশন কমেছে। ফলে ভিটামিন ‘ডি’র সংশ্লেষ আশানুরূপ হচ্ছে না। শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ পর্যাপ্ত মাত্রায় থাকলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

গবেষণায় জড়িতদের অন্যতম ব্রিটেনের অ্যাংলিয়া রাসকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের লি স্মিথ বলেছেন, গড় ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রার সঙ্গে কোভিড-১৯ কেসের একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা খুঁজে পেয়েছি। বিশেষত করোনায় মৃত্যুহারের সঙ্গে।

তিনি বলেন, উত্তর ইউরোপের দেশগুলোতে লোকজনের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র গড়মাত্রা ইতালি ও স্পেনের থেকে বেশি। কারণ সেখানকার লোকজন রোদে বেরোতে দ্বিধা করেন না।

আবার তারা কড লিভার ওয়েল, ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নেন। করোনায় মৃত্যুহারের ওপর ভিটামিন ‘ডি’র প্রভাব ইস্যুতে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর প্রসঙ্গও আসে। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের হার কম। এক্ষেত্রে গবেষকদের ব্যাখ্যা হলো, প্রবীণদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই অনেক কম। ফলে করোনায় তাদের মৃত্যুহার বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

আগের একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে লি স্মিথ বলেন, হাসপাতাল, কেয়ার হোমের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশই ভিটামিন ‘ডি’র মারাত্মক ঘাটতিতে ভুগছেন। তবে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতিই করোনার মৃত্যুহার বাড়ার কারণ এ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে এ বিষয়ে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে তা বলতে ভুলেননি এ গবেষক।