• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ "বহু ভাষায় স্বাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চিয়তা" এ প্রতিপাদ্য নিয়ে  ভেদরগঞ্জে আন্তর্জাতিক  স্বাক্ষরতা দিবস পালিত  হয়েছে। দিবসের  কর্মসূচির মধ্যে ছিল র‌্যালী,আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সকালে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে একটি র‌্যালী বাহির হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে  পুনরায় উপজেলা  পরিষদ মাঠে এসে শেষ।
উপজেলা  পরিষদ  শহীদ আক্কাস -শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তনে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার  আনিসুর রহমান তপু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুলতানা রাজিয়াসহ অন্যান্যরা।

সভায় বক্তারা বলেন, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। শিক্ষা হলো জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি। আর সাক্ষরতা অর্জন হলো শিক্ষার প্রাথমিক সোপান। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ চলমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে। শিশুরা মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখলে, তা বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। একই সঙ্গে নতুন নতুন অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে। সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন এবং সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
 

বক্তারা আরো বলেন, রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সপ্তম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম মানবসম্পদে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি বিতরণ, স্কুল ফিডিংসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। বিদ্যালয়বহির্ভুত শিশু-কিশোরদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় সেকেন্ড চান্স প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ এ কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, জনমিতি অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এ বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে পৌঁছাতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।