• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ভয় বনাম নেতিচিন্তা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

ভয়। নেতিচিন্তার জননী। ভয় হচ্ছে আমাদের অগ্রগতির পথে, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে, ভালো কাজ করার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। নিজের সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। আমরা সবসময় এই ভয়ের কারণে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। ভেতরে যখন ভয় থাকে তখন প্রজ্ঞা কাজ করতে পারে না।

প্রশ্ন হলো, প্রজ্ঞার অবস্থানটা কোথায়? সমস্ত জ্ঞানের অবস্থানটা কোথায়? সমস্ত জ্ঞানের অবস্থান হচ্ছে আপনার মনের অচেতন স্তরে। আমাদের মনটাকে বিজ্ঞানীরা তিনটা ভাগে ভাগ করেছেন। সচেতন, অবচেতন এবং অচেতন।

সচেতন স্তরটা বাইরে। তারপরে অবচেতন স্তর, তারপরে কোর অব দি মাইন্ড, এটা হচ্ছে অচেতন স্তর। আনকনশাস এরিয়া। আনকনশাস রিজিওন। তো এই আনকনশাস, এটাকেই সাধকরা বলেন এটা হচ্ছে সুপার কনশাস এরিয়া।

তো সমস্ত জ্ঞান এই সুপার কনশাস এরিয়াতে একেবারে জমাট বেঁধে আছে। আকরিত আছে। জ্ঞান আছে, কিন্তু অচেতন স্তর থেকে সচেতন স্তরে না আসা পর্যন্ত আপনি সেই জ্ঞানের ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন না। এবং এই যে প্রজ্ঞা, মৌনতার মধ্য দিয়ে, কোয়ান্টায়নের মধ্য দিয়ে অচেতনের সাথে বা অতিচেতন মনের সাথে সচেতন মনের সংযোগটা হয়ে যায়। তখন অতিচেতন মন থেকে মনের সচেতন স্তরে তথ্যগুলো সিদ্ধান্তগুলো ধারণাগুলো আসতে শুরু করে। অনেক সময়ই কী হচ্ছে? আমরা অনেক কিছু আগে কিন্তু বুঝতে পারি। আমাদের অতিচেতন মন বলে দেয়। কখনো কখনো সে সুযোগ পায় সচেতন স্তরে মেসেজ পাস করে। কিন্তু আমরা সাধারণত ভয়ের কারণে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। ভাবি, এটা করব? করলে কী হয় না হয়? কে কী বলে না বলে, কোথায় কী ঝামেলা হয়। ফলে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না। আপনারা নিজেরাও দেখবেন অনেক সময় মনে হবে যে, এরকম তো মনে হয়েছিল এরকম হতে পারে। কিন্তু হয় আরেক রকম। কেন? কারন আপনি পদক্ষেপ নেন নাই। আপনি গুরুত্ব দেন নাই। আপনি বুঝতে পারেন নাই। আপনার বোঝার যে শক্তি সে শক্তিটা তখন ওয়ার্ক করে নাই। কাজ করে নাই। আসলে আমাদের যে মনোদৈহিক প্রক্রিয়া এটা পরিচালনা করে কে? এটা পরিচালনা করে আমাদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের ক্ষমতা কত?

জেরাল্ড এডেলম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায়, একের ডানপাশে এককোটি শূন্য বসালে যে সংখ্যা হবে আমাদের মস্তিষ্কের কানেক্টিভিটির সংখ্যা হচ্ছে তা-ই। এত বিশাল ক্ষমতা এই মস্তিষ্কের। কত বিশাল সেটা কল্পনা করার মতো অবস্থায়ও আমরা এখনো আসি নাই। ধরুন একশ বছর আগে ব্রেনের ক্ষমতা নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তা করতে পারত আজকে একশ বছর পরে সে অনেক বেশি চিন্তা করতে পারছে। কিন্তু একশ বছর আগে এত চিন্তা করতে পারত না। তারপরেও ব্রেনের যে আসলে কী ক্ষমতা সেটা এখনো আমাদের কল্পনার মধ্যে আসে নাই।

আমরা মহাবিশ্বের সভ্যতার যা-কিছু নির্মাণ করেছি সব এই মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে। কিন্তু এই মস্তিষ্ক নিজেই যদি রোগাক্রান্ত হয়ে যায়, ভয়-রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এই মস্তিষ্ক কাজ করবে কীভাবে? এ তো কাজ করতে পারবে না। মস্তিষ্ক অসুস্থ হয় কীভাবে? এই নেতিবাচক চিন্তা, নেতিবাচক ভাবনা নেতিবাচক আবেগ থেকে। এবং যত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আবেগ এটার প্রধান কারণ হচ্ছে ভয়।