• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মঙ্গলের মাটিতে টমেটো, মূলা ও পালং শাক, উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

মঙ্গলে কিংবা চাঁদে গিয়ে বসবাস করার বাসনা অনেকেরই রয়েছে। তাদের জন্য এবার সুখবর শোনাল নাসা। মঙ্গলে কিংবা চাঁদের মাটিতে ফসল ফলানো সম্ভব বলে জানিয়েছে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ফলে ভবিষ্যতে যদি মানুষ সেখানে বাসস্থান গড়ে, তাহলে খাবারের সংস্থান করা যাবে।

মঙ্গলের মাটির নমুনায় এই পরীক্ষা করে দেখেই বিজ্ঞানীরা এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন। ১০ রকমের ফসল ফলিয়ে দেখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টমেটো, মটরশুঁটি, শাক, মূলা, পালংশাক, পিঁয়াজ জাতীয় গাছ ইত্যাদি।

উইগার ওয়ামেলিংক নামে এক গবেষক জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন দেখেছিলাম মঙ্গলের মাটির নমুনায় জন্মানো টমেটোটা ক্রমশ লাল হচ্ছে, আমরা উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলাম।’ পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এগোনোটা যে সুবিধা হবে, সেটা বুঝে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

 

১০টি ফসলের মধ্যে ৯টিই সফলভাবে ফলেছে। সেখান থেকে খাবারের অংশ তুলেও নেওয়া হয়েছে। শুধু পালং শাক খুব ভালোভাবে ফলেনি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানুষ যদি ভবিষ্যতে মঙ্গলে বাস করতে চায়, তাহলে তাদের নিজেদেরই ফসল ফলাতে হবে।

সম্প্রতি নাসার এক সাবেক বিজ্ঞানী দাবি করেন, ৪০ বছর আগেই হয়ত আমরা প্রাণের সন্ধান পেয়েছি মঙ্গলে।
 
১৯৭৬ সালে মঙ্গলে একটি বাইকিং ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল নাসা। সেসময় প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন গিলবার্ট ভি লেভিন নামে ওই বিজ্ঞানী। তিনিই সম্প্রতি আমেরিকার একটি জার্নালে ওই অভিযান সংক্রান্ত একটি আর্টিকল লেখেন। সেখানেই তিনি লিখেছেন, লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল তখনই।

ওই পরীক্ষার নাম ছিল ‘লেবেলড রিলিজ।’ মূলত মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল ওই ল্যান্ডার। তখনই নাকি সব প্রশ্নের উত্তর মোটামুটিভাবে পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন লেভিন।

জানা গেছে, ওই পরীক্ষায় মঙ্গলের মাটিতে কিছু পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, যদি মঙ্গলে প্রাণ থাকত তাহলে তারা খাবার খেয়ে বায়বীয় পদার্থ বর্জন করত, যা তাদের পরিপাকক্রিয়ার প্রমাণ দিত। সেই প্রমাণ নাকি তখন ওই ল্যান্ডারের রেডিওঅ্যাকটিভ মনিটরে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী।

তার দাবি, ওই মাটি নিয়ে নাসা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে দেখেছিল। দু’বারই নাকি প্রাণের প্রমাণই উঠে এসেছিল।