• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মাত্র এক যুগেই দেশকে বদলে দিয়েছে সরকার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১  

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায় আওয়ামী লীগ। তখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ভঙ্গুর। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রুগ্ন শিক্ষাব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ঘাটতি, বেকারত্বসহ নানা কারণে মানুষের জীবনমান ছিল দারিদ্র্যসীমারও নিচে। জামায়াত-বিএনপি সরকারের সীমাহীন দুর্নীতিতে তলিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ১২ বছরে একক নেতৃত্বে উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ভিশন-২০২১ অর্জনের প্রচেষ্টায় দিকহারা বাংলাদেশ পায় উন্নয়নের মহাসড়কের পথের দিশা।

আওয়ামী লীগই প্রথম কোন গণতান্ত্রিক সরকার, যারা বাংলাদেশকে একযুগ ধরে পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছে। এই ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণের মতো বিশাল সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, প্রতিটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেয়া, অর্থনীতির ভিত মজবুত করা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা, দারিদ্র্য নির্মূল করার মতো জীবনমান উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও এই সরকার যত্নের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এই সরকারকে ঘরে-বাইরে নানান ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি মোকাবিলা করতে হয়েছে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগও। সদ্য শেষ হওয়া ২০২০ সালেই দুটি ঘূর্ণিঝড়, সর্বোপরি বন্যাসহ করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতি। আর প্রতিটি সংকট সরকার সামাল দিয়েছে দৃঢ় চিত্তে।

করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে সর্বমহলে তা প্রশংসিত হয়েছে। এরমধ্যে সংক্রমণ রোধে দেয়া বিধি-নিষেধ এবং দ্রুত চিকিৎসার পদক্ষেপ নেয়ায় এদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজেই করা গেছে। এমনকি করোনা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় ২০তম অবস্থানে রয়েছে। করোনার বিভিন্ন সূচক ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতি লাখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন। মাসে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি ১০ লাখে মাত্র ৪৪ জন মারা গেছেন।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সারাদেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২০০০ ডাক্তার ও ৫০০০ নার্স নিয়োগ দেয় সরকার। করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব এমন ল্যাব একটি থেকে সারাদেশে ১৮০তে উন্নীত করা হয়।

শুধু তাই নয় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর শুরুতেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার ৩ কোটি ভ্যাকসিন কেনার জন্য ভারতের সঙ্গে জিটুজি পদ্ধতিতে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিনের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে ৬.৮ কোটি ভ্যাকসিন পাঠাবে বলে নিশ্চিত করেছে। এর ফলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে।

কেবল করোনা পরিস্থিতিতেই নয়, ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে দেশের উন্নতি সাধন করে চলেছে আওয়ামী লীগ সরকার, যে কারণে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩০তম এবং চলতি ডলার মূল্যে অবস্থান দাঁড়ায় ৩৯তম।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদনে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ১৫ গুণ বেড়েছে। আমদানি-রফতানি ও রেমিট্যান্স সূচকেও ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮.৬৬ শতাংশ বেশি।

প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী রেমিট্যান্সে গতি আসে। রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবছর ৪৩ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

বর্তমান সরকারের এক যুগের শাসনের দৃশ্যমান উন্নয়নের মধ্যে বিদ্যুৎখাত রয়েছে সবার উপরে। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৮২ মেগাওয়াট। বর্তমানে যেটি ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট, যা আগের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি।

২০০৯ সালের সঙ্গে বর্তমানের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও চাহিদার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সে সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬ হাজার মেগাওয়াট, সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। যেখানে বর্তমানে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদায় সরকার উৎপাদন করছে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলছেন, গত ১২ বছরে ১১৪টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭টি। এখন সেই সংখ্যা ১৪১টি। ফলে এই মুহূর্তে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পাচ্ছে। আর এক মাসের ভেতরে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে যাবে।

দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩১ শতাংশের বেশি কাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজের ২৬ শতাংশের মতো শেষ হয়েছিল মার্চে মহামারি শুরুর আগে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের প্রথম রিঅ্যাক্টর, প্রেসার ভেসেল এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালের অক্টোবরে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়াও এই সরকারের আমলে বাস্তবায়ন হয়েছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্নের পদ্মাসেতু। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতুর প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১০ ডিসেম্বর, সেদিন সেতুটির ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়।

সরকার বলছে, ২০২২ সালের জুন মাস থেকে এই সেতুতে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হবে। এতে করে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলাকে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত করা হবে। মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে বাড়বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ফলে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ।

পদ্মাসেতুর পরেই এই সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল। ওয়ান সিটি-টু টাউন মডেলে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে তৈরি হচ্ছে সাড়ে তিন কিলোমিটারের সুড়ঙ্গপথ। ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৬১ শতাংশ। এরই মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি টিউবের মধ্যে একটি খনন ও রিং স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে। টানেলে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে দ্বিতীয় টিউবের খনন কাজ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এই সরকারের আরো একটি মেগা প্রকল্পের নাম মেট্রোরেল। ২০১৬ সালের ২৬ জুন দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়। নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৫৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। চলাচলের জন্য রেলকোচ তৈরি হয়ে আছে জাপানে, অপেক্ষা শিপমেন্টের। ২১ কিলোমিটার পথে মোট স্টেশন থাকবে ১৭টি। ২০২২ এর ডিসেম্বরের আগেই মেট্রোরেলে যাতায়াত করবে রাজধানীবাসী।

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে এই সরকার। গত ২৯ ডিসেম্বর এই বন্দরের সক্ষমতা নিরূপণের জন্য প্রথম মালবাহী জাহাজ ভিড়েছে।

এছাড়াও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও এই সরকারের আমলে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মাতারবাড়ি ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের এক হাজার ৪১৪ একর জমিতে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে। এই প্রকল্পে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি স্টিম টারবাইন, সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি ও পানি শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। কয়লা আমদানির জন্য নদীতে ৭ কিলোমিটার নৌ চ্যানেল করা হবে। পাশাপাশি কয়লা ওঠা-নামার জন্য নির্মাণ করা হবে জেটি। কয়লা আমদানির পর তা সংরক্ষণের জন্য বানানো হবে কোল ইয়ার্ড। পাশাপাশি টাউনশিপ নির্মাণ, গ্রাম বিদ্যুতায়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন কাজের আওতায় চকোরিয়া-মাতারবাড়ি ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ ও ১৩২/৩৩ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে।

পরিবেশ দূষণ রোধে অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এরপরেই আছে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশ বিশ্বের ১০ম দেশ হিসেবে কয়লাভিত্তিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট মিলে এই কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। ১৫ মে থেকে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পুরোপুরিভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে ২৩০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পুরোপুরি উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

এসব ছাড়াও এ সরকারের আমলে ছিট মহল বিনিময়, সমুদ্র বিজয় এবং মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানোর মতো অসম্ভব কাজকে সম্ভব করা হয়েছে। এই সরকারের আমলে শিক্ষা খাতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন ঈর্ষণীয়।