• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

মৃতদেহ হয়ে উঠলো জীবিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ডিউটি অফিসারের মোবাইল নম্বরে রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে একটি কল আসে। সেই ফোনে জানানো হয়, সারদাগঞ্জ ৪নং ওয়ার্ড (জামাল কাজীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া) মো. জাহাঙ্গীর আলমের অজ্ঞাত কারণে মৃত্যুর সংবাদ। সেই সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহাবুবকে পাঠান মরদেহ উদ্ধারের জন্য।

এসআই মাহাবুব ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়ীর মেইন কেচি গেইটের তালা ভেঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের রুমের দরজা ভাঙ্গেন। সেই বাসার বাথরুম থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন এসআই মাহবুব।

এরপর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাড়ীতে ওঠানো হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করে মৃত ব্যক্তির গলার মধ্যে গড়গড় শব্দ শোনা যায়। তখন দ্রুত এসআই মাহাবুব মৃত জাহাঙ্গীর আলমের বুকে চাপ দিলে তার শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হয়। এরপর দ্রুতগতিতে তাকে পুলিশের গাড়ীতেই শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভাল।

কাশিমপুর থানার এসআই মোহাম্মদ মাহাবুবের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে জাহাঙ্গীর আলম জীবন ফিরে পান।

জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানার খাঁ-পাড়া এলাকার মোঃ আব্দুস সোবাহানের ছেলে। তিনি বর্তমানে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

কাশিমপুর থানার এসআই মাহবুব আলম বলেন, ঘটনাটি কাকতালীয় লাগছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে এক মুহূর্তের জন্যও দেরি করা হয়নি। আবার তার গলার আওয়াজ পাচ্ছিলাম যখন তখন সঙ্গে সঙ্গেই তার বুকের ওপর হাত দিয়ে চাপ দেই। দুই তিনটা চাপ দিতেই তিনি নি:শ্বাস নিতে শুরু করেন। সম্ভবত তিনি মাইনর বা মেজর হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। তবে ম্যাসিভ অ্যাটাক হলে বাঁচতেন না। এছাড়া অন্যান্য দিক থেকেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই বাড়িতে কেন তিনি একা ছিলেন তা সহ ইত্যাদি কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।