যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের সুসম্পর্কে ফাটল ধরেছে!
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২০
প্রায় ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটলান্টিকের এক পাশের যুক্তরাষ্ট্র আর অপর পাশের ইউরোপের মধ্যে স্থিতির অটল ভিত্তি ও যুক্তরাষ্ট্রচালিত পশ্চিমা শৃঙ্খলার মূল্যবোধের অনড় অবস্থান জারি রেখেছে। তবে ২০২০ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, এই সম্পর্ক নিয়ে আটলান্টিকের দুই পারেরই নতুন করে পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনের তথ্যানুযায়ী, এ সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকা প্রকাশ করে ইইউতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। কিন্তু তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এতে স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা বিপর্যয় দেখে অশ্রুবিসর্জন করলেও, অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপের মাটিতে মার্কিন পর্যটকদের স্বাগত জানানো হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয় হলো ইইউ ঘোষিত ওই তালিকায় করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের নাম থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রকে তালিকায় রাখেনি ইইউ। তবে চীনের জন্য ইইউ দরজা খুলতে তখনই সম্মত হবে, যদি চীনও অনুরূপভাবে ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্য দরজা খুলে দেয়।
ইউরোপীয়ানদের নিয়ে একাধিকবার তীব্র সমালোচনাকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সম্ভবত সান্ত্বনা দিতেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় বরং বৈশ্বিক মহামারির বর্তমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মার্কিনিদের জন্য আরো গ্রহণযোগ্য উপায় নিয়ে ভাবার ইচ্ছেও ব্রাসেলসের ছিল বলে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে স্বীকারও করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ এক কূটনীতিক বলেন, অতীতের ঘটানাগুলো বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য হলেও তালিকায় চীনকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আটলান্টিকের দুই পারের আচমকা সম্পর্কের ফাটলের প্রমাণ হিসেবে এ ঘটনাটিকে গ্রহণ করা যেতে পারে। ইউরোপিয়ান সম্পর্কের ব্যাপারে এখন ওয়াশিংটনেরও যে খুব একটা আগ্রহ নেই, সেটা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বের হয়ে বৃহৎ পরিসরে কূটনৈতিক স্বায়ত্তশাসন ফিরে পাওয়ার পথ যে ইউরোপিয়ান দেশগুলো সক্রিয়ভাবে খুঁজছে এটাও খুবই পরিচিত ঘটনা। ইইউভুক্ত ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এ কথা বিশেষভাবে সত্য।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব তৈরিতে ইউরোপের দেশগুলো একদিকে যেমন চীনের সঙ্গে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক অংশিদারীত্বের বিস্তৃত পরিসরে যুক্ত হচ্ছে, অপরদিকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে তারা বিশ্বের সুপার পাওয়ার হিসেবে পরিচিতি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিজেদের নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে।
বিগত বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থানে অনেক ক্ষেত্রেই অখুশি ইউরোপ। ফলে ব্রাসেলস ওইসব বিষয় আশয়ে বন্দুক তাক করেছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি এবং ফাইভ-জি বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের কারণে ইউরোপ তাদের পুরাতন মিত্র চীনের পক্ষে নিজেদের দাঁড় করিয়েছে।
অবশ্যই, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর, প্রতিষ্ঠিত বন্ধন নিয়ে আচমকা এমন কথা অবশ্য পরিস্থিতির সংকীর্ণ পাঠ হতে পারে কিন্তু বর্তমান এ পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিংয়ের প্রতি ইউরোপের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির যে বিষয়টি দেখা যাচ্ছে, তাতে করে তা ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আঘাত হিসেবে গণ্য হবে।
মহামারিকাল এবং হোয়াইট হাউসের অবস্থানের মধ্যকার পরিস্থিতি চীন যেভাবে সামলিয়েছে, দেশটির সেই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমার ধারণা, তাদেরকে আমরা আরেকটি দুনিয়ায় সরিয়ে রাখতে পারবো’ এমনটাই বলেছেন সেই কূটনীতিক। আরেক দুনিয়া বলতে হয়তো ট্রাম্পের রাজত্বহীন একটা দুনিয়াই বুঝিয়েছেন তিনি।
ইউরোপী ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করেন ব্রাসেলসের এমন একজন কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইউরোপের যুক্তরাষ্ট্রের পাশ থেকে এই সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় যখন বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনই।
ব্রাসেলসের সেই কূটনীতিক বলেন, পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের মতো মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে বারাক ওবামার অতটা আগ্রহ ছিল না অথচ যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপীয়দের জন্য মধ্যপ্রাচ্য বেশি সমস্যার বিষয়। কিন্তু ইউরোপের বদলে চীন ও এশিয়ার প্রতি অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। ফলে ইউরোপ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর দীর্ঘকাল যারা নজর রাখছেন, তাদের মতে, চার বছর আগেই এই সম্পর্ক শুকিয়ে গেছে। আসন্ন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি বারাক ওবামা প্রশাসনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরাজিত করেন, তাহলে এ সম্পর্কের হাল আরো খারাপ হবে বলেই মত তাদের।
অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপিয়ান অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসির ভেলিনা চাকারোভা বলছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), বিশেষ করে জার্মানিকে নিজেদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণ্য করেন ট্রাম্প। তাই তিনি দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হলে এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়বে বৈ কমবে না।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা মতো বিষয়গুলোতে আরো বেশি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। অপরদিকে, ইউরোপিয়ান ন্যাটো সদস্যদের আক্রমণ ও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খড়ড় চাপিয়ে ইউরোপের এ ধরনের প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ব্রাসেলসের ওই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা, ইরানের মতো বড় একটা আন্তর্জাতিক বিষয়ে ট্রাম্প একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে জোটবদ্ধতা থেকে সরে এসে ইউরোপীয় নিরাপত্তাকে ছোট করেছেন, ফলে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকে সরে আসছে, কারণ তাদের মধ্যে এই চিন্তা ত্বরান্বিত হয়েছে যে, নিজের ভালোটা নিজেকেই বুঝতে হবে।
মার্কিন প্রশাসনের এই শত্রুতাপূর্ণ আচরণ ইউরোপিয়ানদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে জানিয়ে ওই কূটনীতিক বলেন, সমস্যাটা হলো, মার্কিন প্রশানসনের যেসব কর্মকর্তা চুক্তিমাফিক ইউরোপের সঙ্গে কাজ করতে চান তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণকাজগুলোর জন্য সরকার ছাড়পত্র দেয় না। তাই ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে, আমরা সত্যিকারের ঝামেলায় পড়ে যাব।
আগামীতে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়টি অনিশ্চিত। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এই একটা সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নামমাত্র আন্তরিকতার সম্পর্ক রেখে ইউরোপ খোঁজ করছে নতুন অংশীদারের। যেই অংশীদারিত্ব তাদের আরো আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ তৈরি করবে; অথচ কিছুদিন আগেও যারা ছিল পশ্চিমাদের শত্রুপক্ষ।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম : শামীম