• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

যে জিকিরে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন আল্লাহ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২১  

ফজিলতপূর্ণ অসাধারণ একটি জিকির। যে জিকিরে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দুনিয়া ও পরকালের অসাধারণ মর্যাদা ও উপকারিতা দান করবেন। যে যতবেশি পড়বে তার উপকারিতা ও মর্যাদা ততবেশি হবে। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। কী সেই জিকির ও জিকিরের মর্যাদা?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি বলবে-
لَاۤ اِلٰهَ إِلَّااللّٰهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির।’

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরিক নেই। সব রাজত্ব তাঁর, সব প্রশংসা তাঁর। তিনি সব কিছুর ওপর শক্তিমান।’

উপকারিতা
> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- এ তাওহিদের কালেমা পড়ে যে ১০০ গণনা পূর্ণ করবে, সে (যেসব মর্যাদা লাভ করবে, তাহলো) -
- ১০ জন গোলাম মুক্ত করার নেকি পাবে ।
- ১০০টি নেকি লাভ করবে।
- ১০০ টি গোনাহ থেকে ক্ষমা পাবে ।
- সে ওই দিন (সারাদিন) শয়তানের ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবে ।
- আর তার চেয়ে বেশি নেকি কেউ করতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- এ দোয়া (তাওহিদের জিকির) সবচেয়ে উত্তম।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অন্য বর্ণনায় এসেছে- ‘কোনো লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে ‘হ্যাঁ’, ওই ব্যক্তি ব্যতিত যে এ জিকির বা দোয়াটির আমল বেশি পরিমাণে করবে।’ (বুখারি)

> যে ব্যক্তি এ জিকিরটি ১০ বার বলবে, সে চারজন ইসমাঈল বংশীয় ক্রীতদাসকে মুক্ত করার সমান সাওয়াব পাবে।’ (নাসাঈ)

> যে ব্যক্তি এই জিকিরটি ১ বার বলবে, সে একজন বা দুজন ক্রীতদাস আজাদ করে দেয়ার সাওয়াব পাবে।’ (মাজমাউয যাওয়াইদ)

> যে ব্যক্তি এই জিকিরটি পড়বে আল্লাহ তাআলা সব আসমান ছেদ করে তার দিকে (রহমতের) দৃষ্টিতে তাকাবেন।’ (নাসাঈ)

জিকির করার সময় ও পদ্ধতি
হাদিসে বর্ণিত তাওহিদের এ জিকির বা দোয়াটি পড়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময় ও পদ্ধতি নেই। তবে প্রত্যেক নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে মুমিন মুসলমান তাওহিদের এ কালেমাটি পড়ে থাকেন। মুমিন মুসলমান যে কোনো সময় এ জিকির বা দোয়াটি পড়তে পারেন।

আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানকে হাদিসে বর্ণিত তাওহিদের ঘোষণার অসাধারণ এ জিকিরটি পড়ে ঘোষিত ফজিলত ও উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।