• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

রোজায় ইফতার ও আর্থিক অনুদান দেওয়ার গুরুত্ব

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২১  

ভোর রাতে সাহরি ও দিনশেষে ইফতার করা রোজার দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও ইবাদত। উভয় কাজের মাধ্যমেই পূর্ণ হয় রোজা। রমজানজুড়ে এই কাজ দুটির রয়েছে আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য। কেননা রাতের সাহরি খাওয়া সুন্নাত ও কল্যাণের। যতদিন সময় হওয়ার সঙ্গে ইফতার করা হয় ততদিন রোজাদারের জন্য বরকত ও কল্যাণ নাজিল হতে থাকে।

যদি কেউ কাউকে ইফতার করায় তার জন্য রয়েছে অতিরিক্ত সাওয়াব ও তাৎপর্য। যাতে ইফতার গ্রহণকারী ও ইফতারের আয়োজনকারী কারোরই সাওয়াব কমানো হবে না। রোজাদার গরিব কিংবা ধনী হোক, বন্ধু হোক বা আত্মীয়, দূরের বা কাছের, সে যে-ই হোক না কেন, তাকে ইফতার করালে তাতে উভয়ের জন্য রয়েছে বড় উপকার।

রোজাদারকে ইফতার করানো- সাওয়াব বৃদ্ধি এবং গোনাহ মাফের আমল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত জায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাল, তারও রোজাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে; তাতে রোজাদারের সাওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করাল, তাকে পানাহার করাল, তাকেও রোজাদারের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে; তাতে তার (রোজাদারের) নেকি বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না।’ (তাবারানি, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)

এমনকি ইফতারের জন্য কেউ কাউকে দাওয়াত করলে তা গ্রহণ করায় রয়েছে কল্যাণ। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর দাওয়াত গ্রহণের একটি বর্ণনা তিনি নিজ ভাষায় তুলে ধরেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাঁকে এক নারী ইফতারের জন্য দাওয়াত করল; তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘আমি তোমাকে (নারীকে) বলছি, যে ঘরের অধিবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সাওয়াব হবে।
নারী বলল, ‘আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, ‘আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার অর্জন করুক। (মুসান্নেফে ইবনে আব্দুর রাজ্জাক)

রমজান মাস ও রোজা বান্দার জন্য আল্লাহ তাআলার এক মহা অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা এ মাস ও রোজাকে কেন্দ্র করে বান্দার জন্য কল্যাণ ও অনুগ্রহ লাভের অনেক ক্ষেত্র ও মাধ্যম তৈরি করেছেন। যে সবের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ অনুগ্রহ ও কল্যাণ লাভ করতে পারবে। রোজাদারকে ইফতার করানো এ সব অনুগ্রহের একটি।

রোজা পালনকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা কোনো প্রতিদান বা পুরস্কার ঘোষণা না করে তা তিনি নিজে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আর পরকালে রোজাদার জন্য আলাদা করে ‘রাইয়্যান’ জান্নাত নির্মাণ করেছেন। যে জান্নাতে রোজাদার ব্যতিত আর কেউ স্থান পাবে না।

ইফতার গ্রহণের দাওয়াত আসলে তা গ্রহণ করায়ও রয়েছে সাওয়াব। এ সাওয়াব প্রদানে আল্লাহ তাআলা কাউকেও কম বেশি করবেন না। বরং সবাইকে সমান সাওয়াব দান করবেন।

রোজাদারকে আর্থিক সহায়তা
ইফতারের নামে কোনোভাবেই যেন খাবারের অপচয় না হয়। ইফতারের গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের আমন্ত্রণ করা জরুরি। গরিব রোজাদারকে আর্থিক দান-অনুদান দেয়াও কল্যাণের। কেননা-
কেউ যদি কোনো গরিব রোজাদারকে ইফতারের জন্য আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে; তাতে সে ওই টাকায় ইফতারও করল; আবার কিছু অর্থ বাচিয়ে তা দিয়ে সাবলম্বী হলো; এটাও ইফতার করানোর ফজিলতের অন্তর্ভূক্ত হবে। আর গরীব ব্যক্তিও আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।

আর ইফতারের দাওয়াত যদি অসহায় গরিব-দুঃখীর জন্য হয়, তবে সেখানে ধনী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ না করাই ভালো।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর রোজাদারদেরকে পারস্পরিক দাওয়াত ও সদাচরণ বিনিময়ের তাওফিক দান করুন। অস্বচ্ছল, গরিব-দুঃখীর মাঝে ইফতার, ইফতার সামগ্রী এবং অর্থ দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।