• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০  

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ জানতে পারে যে, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মোটা অংকের বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার করছে। উক্ত চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইতালিতে সমভাবে সক্রিয়। এদের শিকার মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের বেকার যুবকরা।

চক্রটি বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে যুবকদের লিবিয়ায় পাচার করে থাকে। তৎপরবর্তীতে লিবিয়ায় অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা লিবিয়ার বন্দিশালায় তাদেরকে আটক রেখে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং উক্ত বন্দীদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে লিবিয়া হতে নৌকাযোগে অবৈধ পন্থায় ইতালিতে গমনের সুযোগ করে দেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে বন্দীপ্রতি উক্ত চক্রটি পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করে বলে র‌্যাব জানতে পারে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর একটি চৌকষ দল আজ ১০ জুন দিবাগত রাত ১২:৩০ টার সময় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানাধীন দিগনগর গ্রাম এলাকা হতে ১। রাশিদা বেগম(৪২), স্বামীঃ আমির হোসেন, সাং-পাঠানকান্দি, থানাঃ রাজৈর, জেলাঃ মাদারীপুর এবং একই সময় বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে ২। বুলু বেগম(৩৮), স্বামীঃ শাহাবুদ্দিন, সাং-রাজৈর বেপারীপাড়া, থানাঃ রাজৈর, জেলাঃ মাদারীপুরদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেন এবং প্রাপ্ত গোপন তথ্য সমূহের সত্যতা পাওয়া যায়। উপরে বর্ণিত ১নং আসামী রাশিদা বেগম(৪২) এর স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ লিবিয়ায় অবস্থান করে এবং অবৈধভাবে লিবিয়ায় বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন উপায়ে মানব পাচার করে। রাশিদা বেগম ভিকটিমদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১-০৬-২০ইং, ধারাঃ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৭/৮/১০(১) তৎসহ ৩০২/৩৪ দন্ড বিধি এর এজাহার নামীয় আসামী। আটককৃত আসামীদেরকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সাম্প্রতিককালে মানব পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর গভীর নজরদারী রাখা এবং প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে মানব পাচার চক্রের অন্যান্য সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৮ এর অপারেশন তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।