• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

লোহার জিনিস আটকে যায় এই ‘চুম্বক মানবের’ শরীরে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

চামচ, পেরেক, ইস্ত্রি কিংবা লোহার যাবতীয় বস্তু সবই আটকে যায় তার শরীরে। চুম্বকের মতো সব লোহার বস্তুকে কাছে টেনে নেয় তার শরীর। এসব গায়ে নিয়েই হেঁটে বেড়াতে পারেন তিনি। তার নাম অরুণ রায়কর। ৪২ বছর বয়সী এ ব্যক্তি থাকেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। পেশায় তিনি একজন ফটোগ্রাফার। তবে নিজের এ শক্তি সম্পর্কে অরুণের কোনো ধারণা ছিল না।

একদিন ঘটনাক্রমে হাতুরি ও পেরেক দিয়ে টেবিল মেরামতের সময় অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। অরুণ দেখতে পান তার বুকে একটি পেরেক হঠাৎ আটকে আছে। প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো ঘামের কারণে পেরেকটি বুকে লেগে গেছে। এরপর তিনি আরও কয়েকটি পেরেক নিজের বুকে লাগানোর চেষ্টা করেন। দেখলেন, লোহার পেরেকগুলো সামনে ধরলেই বুকে ও পেটে লেগে যাচ্ছে। ঠিক যেমন চুম্বক কাছে টেনে নেয় লোহাকে, ঠিক তেমনটিই ঘটে অরুণের সঙ্গে।

এরপর বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গেও পরামর্শ করেন অরুণ। তারাও অবাক হয়েছেন বিষয়টি দেখে। এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ডা. শৈলেন্দ্র শুক্লা বলেন, তার শরীরে চৌম্বকীয় শক্তির প্রমাণ পেয়েছি। যা সত্যিই মানব শরীরে থাকার ঘটনা বিরল। অরুণের শরীরে যে ম্যাগনেট রয়েছে, তার সাহায্যেই আমরা এমআরআই এবং ইসিজি স্ক্যান করে থাকি। তবে অরুণের শরীরে চৌম্বকীয় শক্তির ক্ষেত্র বাড়লেও তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে।

অরুণ এ বিষয়ে বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম আমার এ অলৌকিক শক্তির কারণ বোধ হয় সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ। তবে এটিকে আমি এখন সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ বলে মনে করি। যখন আমার এলাকার মানুষ বিষয়টি জানে তখন তারা আমাদের বাড়ির আশপাশ থেকেও আশা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে এখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমাকে একনজর দেখার জন্য আসেন।