• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুর পৌরসভায় ৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর পৌরসভার ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ জুন রোববার দুপুর ১২টায় শরীয়তপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে মেয়র মো. রফিকুল ইসরাম কোতোয়াল নতুন অর্থ বছরের এ বাজেট পাঠ করে শোনান। এ সময় শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ বাচ্চু বেপারী, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াসমিন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লহ্মীকান্ত হালদার, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, সচিব এনামুল হক, কাউন্সিলর সঞ্জিব নাগ, আব্দুল রশিদ সরদার, সাইফুর রহমান রাজ্জাকসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভার বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট ঘোষণা কালে মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য ৮৯ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৯১২ টাকা বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। যাহা ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের চাইতে অনেক বেশী। এ বাজেটে শরীয়তপুর পৌরসভার অনেক উন্নয়ন হবে। তবে এ ক্ষুদ্র বাজেট দিয়ে আশানরূপ উন্নয়ন সম্ভব না। পাশাপশি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর সহায়তা পেলে পাশবর্তী জেলার পুরোন পৌরসভার তুলনায় শরীয়তপুর পৌরসভায় অনেক আধুনিকায়ন আনতে পারব। বিগত সময়ে শরীয়তপুরে কোন মন্ত্রী ছিল না। তবুও যে সকল জেলায় মন্ত্রী ছিল সেই সকল জেলার চাইতে শরীয়তপুর পৌরসভায় বেশী উন্নয়ন হয়েছে। শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবং শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এর সাথে আলাপ হয়েছে। তারা শরীয়তপুর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন বলে আমাকে আস্বস্ত করেছেন। তাদের সহায়তা পেলেই উন্নয়নের দিক থেকে শরীয়তপুর পৌরসভা শত বছরের পুরোন পৌরসভাকে ছাড়িয়ে যাবে।
মেয়র পৌরবাসীর প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠান থেকে। জবাবে বলেন, সুন্দর জায়গা পাওয়া গেলে পৌর শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে। এখন ছোট্ট পরিশরে পৌরসভার পাশের জলাশয় ভড়াট করে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে। শরীয়তপুর পৌরসভার যত খাল ভড়াট হয়েছে তা জেলা পরিষদের ও জেলা প্রশাসকের সম্পত্তি। খাল দখল মুক্ত হওয়ার সাথে জন সাধারনের স্বার্থ যুক্ত থাকলে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব লিজ বাতিল করে খাল দখল মুক্ত করতে।
জবাবে তিনি আরও বলেন, শরীয়তপুর পৌরসভার প্রবেশ দ্বারে মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্করর্য স্থাপণ করা হবে। তবে প্রবেশ দ্বারগুলো দোকানপাট দ্বারা দখল হয়ে আছে। তাই আপতত সম্ভব না। তবে কোথাও অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মানে অসঙ্গতি বা অনিয়ম লক্ষ্য করলে কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন। কর্তৃপক্ষ যেতে দেরি হলে আপনারাই সেই কাজ বন্ধ করে দিবেন। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। পৌরসভার একার পক্ষ্যে সকল বিষয় তদারকি করা সম্ভব না। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। 
পৌর এলাকায় যে সকল ব্যবসায়ীরা একবার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আর নবায়ন করছেনা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এ ক্ষেত্রে জেল জরিমানা পর্যন্ত বিধাণ রয়েছে। যদি কোন ঠিকাদার নিন্মমানের কাজ করে আর সেই কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে পুনরায় সেই কাজ করে দিতে হবে নয়তো সিকিউরিটি মানি ফেরৎ পাবে না। পরে তিনি পৌরবাসীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।