• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ “নিয়ম মেনে অবতাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি” এ প্রতিপাদ্যের মাঝ দিয়ে শরীয়তপুরে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর রবিবার র‌্যালী , আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিভেন্স,ত্রাণ ও দূর্যোগ অফিসের যৌথ উদ্যোগে সকাল ১০টায়  জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন এনজিও, সরকারি  বেসরকারি সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর নেতৃত্বে র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শরীয়তপুর জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক   প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  মোহাম্মদ মামুন উল হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ।
 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দুর্যোগ বাড়ছে। পাশাপাশি রয়েছে অগ্নিকান্ড ও দূষণজনিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ  মোকাবেলা ও তার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ  মোকাবেলায় সক্ষম  দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করছে।
তিনি আরো বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনিই প্রথম মুজিব কিল্লা নির্মাণের মাধ্যমে দুর্যোগে জনগণের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে  স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা দুর্যোগ সতর্কবার্তা  প্রচার ও সাড়াদান কার্যক্রমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।  দেশের প্রতিটি  জেলায় একটি করে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায়  বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দটকশোদ, সড়কদ্বীপ সজ্জা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি রয়েছে।