• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শরীয়তপুরে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়েছে ১৪৬ গৃহহীন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূটির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে শরীয়তপুরে জন্য তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য ১৪৬ টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর উদ্বোধন হয়েছে আজ।

১৩ অক্টোবর রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে  বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন  থেকে   আশ্রয়  কেন্দ্র গুলো উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  মোহাম্মদ মামুন উল হাসান,সিভিল সার্জন ডাঃ খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে জানা গেছে প্রতিটি ঘর নির্মানে সরকারের ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫শত ৩১ টাকা। সে হিসেব মতে শরীয়তপুর জেলায় এ বছর দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মানে বরাদ্দ পেয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের আলোকে স্থানীয় ভাবে টিভিতে সম্প্রচার অনুষ্ঠান  দেখে সারাদেশের দুর্যোগ সহনীয় ১১ হাজার ২৭৩টি বাসগৃহের নামফলক উন্মোচন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল  জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তারই ধারা বাহিকতায় জেলা প্রশাসক জেলা জেলা সদরে ও অপর ৫ উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন স্ব স্ব উপজেলায় নাস ফলক উন্মুচন করেন। ঘরের নামফলকে  লেখা ছিল- ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার অবদান/টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়  থেকে জানা  গেছে, আগামী পাঁচ বছরে টিআর ও কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে  দেবে সরকার।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রয় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে  টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে  সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা। নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করেছেন। কারও এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর  নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তাদের এই ঘর  দেয়া হচ্ছে। এছাড়া  যে পরিবারে পুরুষ সদস্য  নেই, বা পুরুষ সদস্য আছে কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের ওপর; নদীভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, এছাড়া  বেদে ও হিজড়াদের জন্য এসব ঘর  দেয়া হচ্ছে।